আমেরিকা যতই নিষেধাজ্ঞা জারি করুক না কেন, ওইসব ভারতের ক্ষেত্রে খাটবে না। অন্যান্য রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারত তার জাতীয় স্বার্থ দেখবে। যেমন, রাশিয়ার সঙ্গে নয়া দিল্লির এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে চুক্তি রয়েছে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থাকা তা মেনে চলবে ভারত। বুধবার নয়াদিল্লিতে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে আমেরিকার সেক্রেটারি অব স্টেট মাইক পম্পেও-কে এই কথাই বুঝিয়ে দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
ভারতের এই অবস্থান যে আমেরিকা মেনে নিয়েছে তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনেই। মাইক পম্পেও বললেন, ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু। বর্তমানে দ্বিপক্ষীযক সম্পর্ক এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। অথচ আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের 'কাউন্টারিং আমেরিকাস অ্যাডভারসরিস থ্রু স্যানশন অ্যাক্ট' বা 'কাটসা' আইনের জন্য মস্কোর থেকে এস-৪০০ কেনার বিষয়ে ভারতকে সমস্য়ায় পড়তে হতে পারত।
ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর জানান, ভারতের সঙ্গে অন্যান্য রাষ্ট্রের সম্পর্কের একটা ইতিহাস আছে। জাতীয় স্বার্থে ভারত যা করার তা করবে। এদিনর বৈঠকে জ্বালানি ও বাণিজ্য থেকে শুরু করে আফগানিস্তানের এবং ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিস্থিতি - এইরকম বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান জয়শঙ্কর। এছাড়া সন্ত্রাসবাদ নিয়ে ট্রাম প্রশাসন ভারতের পাশে থাকায় তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
মঙ্গলবার রাতে ভারতে এসেছেন পম্পেও। এদিন সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও তাঁর ফোনে ভারত-মার্কিন সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়। গত মাসে মোদী সরকার দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফেরার পর এই প্রথম ভারত-মার্কিন উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হল। এই বৈঠক আসলে মোদী-ট্রাম্প বৈঠকের ঢাকে কাঠি দেওয়া। এই সপ্তাহের শেষেই জাপানের ওসাকাতে জি-২০ শীর্ষ বৈঠক রয়েছে। সেখানেই নরেন্দ্র মোদী ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠক হওয়ার কথা।