কুকুরের মতো মরেছে, অবশেষে এল ট্রাম্পের বড় ঘোষণা, দীপাবলিতে মুছে গেল আরও এক অন্ধকার

রবিবার দীপাবলি। নিজেই হোয়াইট হাউসে প্রদীপ জ্বালিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন এটা অন্ধকারের বিরুদ্ধে আলোর জয়, মন্দের বিরুদ্ধে ভালোর জয়, অজ্ঞানতার বিরুদ্ধে জ্ঞানের জয় উদযাপনের সময়। আর এর কিছুক্ষণ পরেই সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বড় ঘোষণাটা করেই দিলেন ট্রাম্প। জানালেন মার্কিন সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত, আরও এক অপশক্তি, ইসলামিক স্টেট জঙ্গি গোষ্ঠীর প্রধান নেতা আবু বরকত আল বাগদাদি।

 

amartya lahiri | Published : Oct 27, 2019 2:18 PM IST / Updated: Oct 27 2019, 08:08 PM IST

রবিবার দীপাবলি। নিজেই হোয়াইট হাউসে প্রদীপ জ্বালিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন এটা অন্ধকারের বিরুদ্ধে আলোর জয়, মন্দের বিরুদ্ধে ভালোর জয়, অজ্ঞানতার বিরুদ্ধে জ্ঞানের জয় উদযাপনের সময়। আর এর কিছুক্ষণ পরেই সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বড় ঘোষণাটা করেই দিলেন ট্রাম্প। জানালেন মার্কিন সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত, আরও এক অপশক্তি, ইসলামিক স্টেট জঙ্গি গোষ্ঠীর প্রধান নেতা আবু বরকত আল বাগদাদি।

হোয়াইট হাউস থেকে এক বিবৃতি দিয়ে এদিন তিনি জানান, আর কোনওদিন কোনও নিরীহ পুরুষ, মহিলা বা শিশুর ক্ষতি করতে পারবে না বাগদাদি। কুকুরের মতো মৃত্যু হয়েছে তার। কাপুরুষের মতো মারা গিয়েছে সে। পৃথিবীটা এখন অনেক বেশি নিরাপদ জায়গায় পরিণত হল। তিনি আরও জানান, শনিবার রাতেই উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার এক জায়গায় মার্কিন বিশে, বাহিনি হানা দেয়। তাদের হাতেই খতম হয় বাগদাদি।

বেশ কয়েক বছর ধরেই বাগদাদির খোঁজ চালাচ্ছিল মার্কিন সেনা। মাঝেমাঝেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর এসেছে। তারপরই আবার ভিডিও বা অডিও বার্তা নিয়ে নিজের অস্তিত্বের জানান দিয়েছে সে। মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগ তার অনুসন্ধান করার পাশাপাশি তার মাথার দাম হিসেবে ২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছিল।

এই সাফল্যের জন্য ট্রাম্প মার্কিন সেনাকে সমর্থন করায় রাশিয়া, তুরস্ক, সিরিয়া, ইরাক ও কুর্দিস যোদ্ধা দের ধন্যবাদ দিয়েছেন।

ইরাকে আল কায়দা গোষ্টীতে য়োগ দিয়েছিল বাগদাদি। এরপর তার প্রচেষ্টাতেই অন্যান্য ইসলামি মৌলবাদি গোষ্ঠীগুলিকেও আল কায়দার সঙ্গে যোগ দিয়েছিল। এরপরই গোষ্টীর নাম বদলে আইএসআইএস করা হয়। ২০১০ সালে সে-ই আইএস গোষ্টীর প্রধান নেতা হয়ে বসে। ২০১৪ সালে সিরিয়া ও ইরাকের বড় অংশ দখল করে খিলাফৎ হিসেবে ঘোষণা করে।

২০১৭-এর শেষে সেই খিলাফৎ ভেঙে গেলেও এতদিন অধরাই ছিল বাগদাদি। এক পদস্থ ইরাকি নিরাপত্তা আধিকারিক জানিয়েছেন, বাগদাদি সম্পর্কে নির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্য এনে দিয়েছিল তারাই। এরপরই মার্কিন বাহিনীর বিশেষ দল হানা দেয় সেই শিবিরে। সেই অভিযান চলাকালীন সস্ত্রীক বাগদাদি আত্মগাতি বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিজেদের উড়িয়ে দিয়েছে। অন্যান্য আইএস নেতারাও মার্কিন সেনার গুলিতে নিহত হয়েছে।

Share this article
click me!