লাদাখে হামলার জন্য চিনকেই কাঠগড়ায় তুলছে আমেরিকা, করোনা থেকে নজর ঘোরাতে নতুন চাল বেজিংয়ের

  • গালওয়ানে ভারত-চিন সংঘর্ষ নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া আমেরিকার
  • গালওয়ান  উপত্যকায় হামলার জন্য চিন দায়ি
  • এমন মতামত প্রকাশ করছে মার্কিন প্রশাসন
  • ভারতে চিনা পণ্য নিষিদ্ধ করার বিষয়টিতে সায়

Asianet News Bangla | Published : Jun 20, 2020 10:32 AM IST / Updated: Jun 22 2020, 10:07 PM IST

লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চিনের  সঙ্গে  সংঘর্ষে ভারতের ২০ জন জওয়ান শহিদ হয়েছেন। এরপর থেকেই দুই দেশের মধ্যে বাড়ছে উত্তেজনা। যদিও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সামাধানের চেষ্টা চালাচ্ছে দুই পক্ষই। তারপরেও সীমান্তের দুই তরফই বাড়ছে সেনার সংখ্যা। আর এই পরিস্থিতিতে গালওয়ান উপত্যকায় যা হয়েছে তার জন্য চিনকেই সম্পূর্ণ দায়ি করছে আমেরিকা। করোনা থেকে নজর ঘোরাতে চিন এবার অন্যের ভূখণ্ড দখলের চেষ্টা করছে বলে বক্তব্য ট্রাম্প প্রশাসনের। 

গালওয়ানে ভারত-চিন সংঘর্ষের পর থেকেই  কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়ে চলেছে আমেরিকা। এর মধ্যেই  চিনা সেনাদের হামলায় হত ভারতীয় জওয়ানদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন  মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেয়ো। অন্য দিকে, গোটা সংঘর্ষের পিছনে চিনের জমি দখলদারির নীতির দিকেই আঙুল তুলেছে ওয়াশিংটন। ভারতে এখন যে ভাবে চিনা পণ্য নিষিদ্ধ করার কথা আলোচনা হচ্ছে, তাকেও স্বাগত জানিয়েছে  আমেরিকা। 

লাদাখ সীমান্তের অশান্তি ঘিরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হচ্ছে। এর মধ্যেই আমেরিকার হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেয়োর সঙ্গে বৈঠক হয় শীর্ষ চিনা কূটনীতিক ইয়াং জিয়েচির। সেই বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা পরেই পম্পেয়ো ট্যুইট করে ২০ জন ভারতীয় সেনার মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেন। ২০ জন ভারতীয় সেনা শহিদের ঘটনায়  শোক জানিয়েছেন ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত কেনেথ জাস্টার এবং ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ইমানুয়েল লেন্যাঁও। 

এদিকে চিনের সঙ্গে পম্পেয়োর বৈঠকের পরেই  মার্কিন আধিকারিক ডেভিড স্টিলবেল একটি বয়ান জারি করে বলেন, ‘ভারত চীন সীমান্তে এরকম গতিরোধ এর আগেও হয়েছিল। ২০১৫ সালে যখন চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং ভারত সফরে ছিলেন, তখন এরকম কাণ্ড ঘটেছিল। চিন এবার অনেক এগিয়ে আসে, ওঁদের সেনার সংখ্যা ভারতের থেকে অনেক বেশি ছিল। এরকম আমরা এর আগে ডোকালামে দেখেছিলাম।”

আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প লাগাতার চিনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছেন। উনি বৃহস্পতিবার একটি ট্যুইট করে চীনের সাথে সমস্ত বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ইঙ্গিত দেন। ট্রাম্প জানিয়েছেন, আমেরিকার কাছে চীনের থেকে সম্পূর্ণ ভাবে আলাদা হওয়ার বিকল্প আছে। এছাড়াও আমেরিকার রাষ্ট্রপতি করোনার জন্য বরাবরই চিনকে দায়ি করে এসেছেন। তিনি এও বলেছেন, করোনার ছড়ানোর জন্য চিনকে কড়া পরিণাম ভুগতে হবে।

Share this article
click me!