হৃত্বিক রোশনের কাছে কিছুই নয় স্বামী। গ্রিক দেবতার মতো দেখতে হৃত্বিককে। তাঁর নাচ মন ভরে যায়। কিন্তু স্বামীর এমন কোনও গুনই নেই। কাজে যায়, ফিরে আসে। কোনও রোমান্টিকতা নেই। দীর্ঘদিন ধরে হৃত্বিকের সঙ্গে নিজের তুলনা শুনতে শুনতে অতিষ্ট হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। বার বার স্ত্রীকে এই ধরনের কথা বন্ধ করতে বলেও কোনও লাভ হয়নি। রেগে স্ত্রীকে ছুরি দিয়ে মেরে আত্মহত্যা করল স্বামী। খোদ মার্কিন তালুকে নিউ ইয়র্কের মতো জায়গায় এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। জানা গিয়েছে, স্বামী ও স্ত্রী দুজনের ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক।
জুলাই মাসে দীনেশ্বর বোধিদত্তের সঙ্গে বিয়ে হয় ডোনে দোজয়ের। দীনেশ্বর পেশায় বার টেন্ডার। বিয়ের আগে থেকেই স্ত্রীর হৃত্বিক প্রীতি দীনেশ্বর টের পেয়েছিলেন। কিন্তু বিষয়টা যে এতটা গুরুতর তখন বুঝতে পারেননি। হৃত্বিকের কোনও সিনেমা আমেরিকায় এলে দোজয়ের দেখা চাই। এমনকী হৃত্বিকের প্রতিটি গানের লাইন তাঁর মুখস্থ। হৃত্বিকের নাচ দেখতে গিয়ে তিনি চোখের পাতা ফেলতে ভুলে যেতেন দোজয়। এতদূর ঠিক ছিল। কিন্তু সমস্যা শুরু হয় যখন থেকে স্বামীকে হৃত্বিকের সঙ্গে তুলনা করেন। দীনেশ্বর তাঁকে বার বার অনুরোধ করেন, যেন তাঁর সঙ্গে এই ধরনের তুলনা না করেন। কিন্তু কোনও কথা কান দেন না তিনি। এই নিয়ে দুজনের মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত।
অশান্তি এতটা চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেছিল, তাঁরা আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাঁরা। যদিও আলাদা থাকার আগে স্ত্রী কথা দেন, হৃত্বিককে নিয়ে আর কোনও আলোচনা করবেন না। কিন্তু স্ত্রীর নিজেকে প্রমাণের সুযোগ দিলেন না দীনেশ্বর। তার আগেই স্ত্রীকে হত্যা করলেন স্বামী। এরপর স্ত্রীর বোনকে ফোন করে হত্যা করার কথা স্বীকার করেন। পরে সামনের গাছে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন স্বামী। নিউ ইয়র্কের একটি দৈনিক এই বিষয়ে বিস্তারিত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে দোজয়ের এক বান্ধবী জানিয়েছেন, দীনেশ্বর তাঁর স্ত্রীকে ভালোবাসতেন। কিন্তু স্ত্রীর হৃত্বিক প্রীতি নিতে না পারতেন না। রাগের মাথায় দোজয়কে খুন করে দেন। পরে অনুতপ্ত হয়ে নিজে আত্মহত্যা করেন।