প্রাণ বাঁচাতে পালাতে হল হংকং থেকে, ভাইরোলজিস্ট ফাঁস করলেন করোনা নিয়ে চিনা ষড়যন্ত্র

নতুন করোনাভাইরাসটির বিপদ সম্পর্কে আগেই জানতে পেরেছিল বেজিং

কিন্তু, জিনপিং সরকারের শীর্ষস্তর থেকেই তা ঢাকা-চাপা দেওয়া হয়েছিল

গুরুতর অভিযোগ করলেন হংকং-এর এক ভাইরাল রোগ বিশেষজ্ঞ

প্রাণ বাঁচাতে আপাতত পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে

বিশ্বকে মারাত্মক নতুন করোনাভাইরাস সম্পর্কে অবহিত করার অনেক আগে থেকেই ভাইরাসটির বিপদ সম্পর্কে জানতে পেরেছিল বেজিং। কিন্তু, জিনপিং সরকারের একেবারে শীর্ষস্তর থেকেই তা ঢাকা-চাপা দিয়ে রাখা হয়েছিল। এমনই গুরুতর অভিযোগ করলেন হংকং-এর এক ভাইরাল রোগ বিশেষজ্ঞ। প্রাণ বাঁচাতে আপাতত তিনি হংকং থেকে পালিয়ে মার্কুন যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নিয়েছেন।

হংকং স্কুল অফ পাবলিক হেলথ-এ ভাইরোলজি এবং ইমিউনোলজি বিশেষজ্ঞ হিসাবে কাজ করতেন লি-মেং ইয়ান। ওই গবেষণা কেন্দ্রটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদনপ্রাপ্ত। মেং জানিয়য়েছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সেই রেফারেন্স ল্যাবরেটরি-তে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষে থেকেই চিনের মূল ভূখণ্ড থেকে সার্স-এর মতো অদ্ভুত ভাইরাল সংক্রমণের মামলা আসা শুরু হয়েছিল। মমেং-এর দাবি এই বিষয়ে গবেষণার জন্য তাঁকে নির্দেশ দিয়েছিলেন তাঁর সুপারভাইজাররা। কিন্তু, পরে তাঁর গবেষণা এড়িয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। অথচ সেই গবেষনা বহু মানুষের জীবন বাঁচাতে পারত বলে মনে করেন মেং।

Latest Videos

মেং জানিয়েছেন ডাব্লুএইচও- রেফারেন্স ল্যাবের ডাক্তার লিও পুন গত বছর তাঁকে এই নতুন ভাইরাস সম্পর্কে গবেষণার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারপর থেকে তিনি হংকং এবং চিনের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা তাঁর সহকর্মীদের সঙ্গে এই অদ্ভুত ভাইরাসটি নিয়ে আলোচনা শুরু করেছিলেন। তবে শিগগিরই সবারই সুর পাল্টে গিয়েছিল। চিকিত্সক এবং গবেষকরা যারা তার আগে ভাইরাসটি নিয়ে খোলামেলাভাবে আলোচনা করেছিলেন, তারা হঠাৎ করেই একেবারে চুপ হয়ে যান। সবচেয়ে অবাক করেছিল এই ভাইরাসের আতুড়ঘর হিসাবে পরিচিত উহান শহরের ডাক্তার-গবেষকদের আচরণ। তাঁরা টু শব্দটিও করছিলেন না। তাঁর সুপারভাইজাররা জানিয়ে দিয়েছিলেন, এই বিষয়ে কথা বলা যাবে না, তবে সকলকে মাস্ক পরতে হবে।

বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি মেং। কিন্তু, তিনি বুঝতে পারছিলেন, হংকং-এ বসে তিনি কিছু করতে পারবেন না। যদি ধরা পড়েন, তাহলে হয় তাকে কারাগারে নিক্ষেপ করা হবে, অথবা হংকং-এর আরও বহু নাগরিকের মতো তাঁকেও 'গায়েব' হয়ে যেতে হবে। তাই দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন মেং। সেই মতো ব্যাগ গুছিয়ে, প্রিয়জনদের মায়া ত্যাগ করে তিনি গত ২৮ এপ্রিল আমেরিকার উদ্দেশ্যে পারি দিয়েছিলেন। পাসপোর্ট এবং কিছু অর্থ সঙ্গে নিয়েই গবেষণাগারে এসেছিলেন, এবং ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সেন্সর এবং ভিডিও ক্যামেরার নজরদারি এড়িয়ে সোজা বিমানবন্দরে চলে এসেছিলেন।

আপাতত আমেরিকায় তিনি আত্মগোপন করে আছেন। কারণ, এখনও তাঁর প্রাণের ঝুঁকি রয়েছে বলে আশঙ্কা করছেন এই ভাইরাল অসুখ বিশেষজ্ঞ। তাঁর অভিযোগ দেশে সরকারের পক্ষ থেকে তাঁর ভাবমূর্তি খারাপ করার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং তাঁর মুখ বন্ধ রাখার উদ্দেশ্যে সরকারের পক্ষ থেকে তাঁর বিরুদ্ধে সাইবার-হামলাও চালানো হচ্ছে। এদিকে কুইংদাাও-এ তার ছোট্ট অ্যাপার্টমেন্টটি তছনছ করে দিয়েছে। কড়া জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তার বাবা-মাকে। ফোনে যোগাযোগ হলে বাবা-মা তাকে বাড়ি ফেরার জন্য অনুরোধ করছেন। সরকারের বিরুদ্ধে এই লড়াই বন্ধ করার কথা বলছেন।

তবে মেং মনে করেন আর কখনই তাঁর নিজের বাড়িতে ফেরা হবে না। পরিবার বা বন্ধুবান্ধব - চেনা পরিচিতদের আর কারোর সঙ্গে আর কখনও দেখা হবে না। এচা মেনে নিয়েই তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন। কারণ তিনি কোভিড-১৯ সম্পর্কে সত্য বার্তা বিশ্বের কাছে পৌঁছে দিতে চান। তিনি আরও জানিয়েছেন, এই কাজ যদি তিনি চিনে বসে করার চেষ্টা করতেন তবে তিনি এতদিনে খুন হয়ে যেতেন।

 

Share this article
click me!

Latest Videos

Mamata Banerjee-র প্রশাসনকে বেলাগাম তুলোধোনা Agnimitra Paul-এর, দেখুন কী বললেন BJP নেত্রী
হিন্দুদের পাশে থাকায় শুভেন্দুকে প্রাণ নাশের হুমকি, দেখুন জবাবে কী বললেন শুভেন্দু | Suvendu Adhikari
North Sonarpur Book Fair 2024: উত্তর সোনারপুর বইমেলা শুরু! ছোটদের বইমুখী করতে নতুন চমক, দেখুন
শতবর্ষে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী Atal Bihari Vajpayee, শ্রদ্ধা নিবেদন রাষ্ট্র নেতাদের | PM Modi News
'লুঙ্গিতে গিট বেঁধে আসুক, না হলে ওদের লুঙ্গিকে প্যারাসুট বানিয়ে ছেড়ে দেব' | Sukanta Majumdar Today