ল্যাংচা মানেই ছানার লাল-লাল লম্বাটে মিষ্টি। ভাজা মিষ্টির তালিকায় ল্যাংচা মানেই বাঙালির জিভে আহা-আহা-মরি-মরি স্বাদ। ধরে নিন শীতকালের সকাল। চারিদিকে হাল্কা কুয়াশায় পারদের নিম্নমুখী প্রবণতায় ঠান্ডার কাঁপন। এই অবস্থায় ঠক-ঠক করে ঢুকে যেতেই পারেন মা মিষ্টান্ন ভান্ডার অন্দরমহলে। লাটাগুড়ি বাজারের একদম উপরে এই মিষ্টির দোকান। বুঝতে অসুবিধা হলে কাউকে বলতে হবে বিশাল বিশাল ল্যাংচার দোকানে যাব। ব্যাস! দোকানের ভিতরে সিঁধিয়ে যেতে যতক্ষণ। আপনার জন্য ঢ্যাব-ঢ্যাব-এ চোখ মেলে থরে থরে সাজানো গামলায় চেয়ে রয়েছে লম্বা লম্বা ল্যাংচা। দেখলেই আঁতকে উঠতে পারেন। আরে বাবা এমনও হয় নাকি! মিষ্টিপ্রেমীদের মনে হিল্লোল উঠতেই পারে। জিভের জল মুহূর্তে ঠোঁট বেয়ে বেরিয়ে এলেও আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। যারা আশির দশকে পুরনো বাংলা ছবি দেখেছেন, তাতে নিশ্চয়ই দাদার কীর্তির অনুপকুমারের আহ্লাদে আটখানা হওয়া মুখটাও প্রত্যক্ষ করেছেন। নিজের মধ্যে তেমন একটি অনুপকুমারও আবিষ্কার করে ফেলতে পারেন। বিশুদ্ধ ছানায় এক্কেবারে মাখোমাখো স্বাদে হালকা চিনি দেওয়া সেই মিষ্টিকে জিভে উপর খেলিয়ে খেলিয়ে উদরস্থ করতে করতে মনে হতেই পারে জীবন এমনও সুন্দর হতে পারে। এখানেই শেষ নয় রয়েছে দৈত্যাকার চমচমও। এক চমচমকে ছয় জনের ভোজ হয়ে যায়। ল্যাংচার আড়ম্বরে সেই চমচমের স্বাদও নিয়ে নিতে পারেন। তাই দেরি না করে ডেস্টিনেশনটা লাটাগুড়ির মা মিষ্টান্ন ভান্ডারের উদ্দেশে।