স্বামী-স্ত্রী -এর মতই থাকতেন সুশান্ত ও রিয়া আর সেই কারণেই সুশান্তের টাকা দিনের পর দিন খরচ করেছেন তিনি। সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলে এমনটাই জানালেন রিয়া। এত দিন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কোনও কথাই বলতে চাননি রিয়া। এই প্রথম মুখ খুললেন তিনি। আর তাঁর মত করে তিনি অনেক কথাই জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যমকে। রিয়া জানিয়েছেন সুশান্তকে নিয়ে কোনও কথাই মেসেজ করে মহেশ ভাটকে তিনি জানাননি। এমনকী সুশান্তের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি নিয়েও মহেশের সঙ্গে তাঁর কোনও কথা হয়েছে এমন দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন। রিয়া জানিয়েছেন, তিনি বাড়ি চলে আসার পর সুশান্ত তাঁকে একদিনের জন্য ফোন করেননি। এতে তিনি প্রচণ্ড কষ্ঠ পেয়েছিলেন। যে মানুষটার সঙ্গে তিনি ঘর বেঁধেছিলেন বিয়ে না করেই, সেই মানুষটা এমনভাবে তাঁকে উপেক্ষা করতে পারে তা মেনে নিতে পারেননি। প্রবল মানসিক কষ্ঠে মহেশ ভাটকে সেই কথাই ফোন করে শেয়ার করেছিলেন। সিদ্ধার্থ পিঠানিকে নিয়ে তিনি বলেন সিদ্ধার্থ যে বানিয়ে বানিয়ে মিথ্যা কথা বলবেন তা কল্পনাতেও আনতে পারেননি তিনি। সুশান্তের গাড়ির চালক বদল করা নিয়ে যে কথা সিদ্ধার্থ রটিয়েছেন তা মিথ্যা বলেও দাবি করেছেন রিয়া। তিনি জানিয়েছেন, তিনি সুশান্তের বাড়ি ছেড়ে চলে আসার পর গাড়ির চালক বদল হয়। আর সেই চালক বদলের কাজটা করেছিলেন সুশান্তের দিদি নিজেই। রিয়ার মতে সুশান্ত ও শৌভিকের মধ্যে সম্পর্কটা ছিল দাদা-ভাই-এর মতো। সুশান্ত ও শৌভিক একে অপরকে প্রচণ্ড পছন্দ করতেন। দুই জনের কেমিস্ট্রি দেখে নাকি রিয়া নিজের ভাই শৌভিককে সতিন বলেও ডাকতেন মাঝেমধ্যে। সুশান্ত রিলেটিক্স নামে যে সংস্থা তৈরি করেছিলেন তাতে তাঁর এবং শৌভিকেরও সমান পার্টনারশিপ রয়েছে বলেও দাবি করেছেন রিয়া। তাঁর কথায় শৌভিক চাকরি ছেড়ে দেওয়ায় কিছু অর্থ সঙ্কট তৈরি হয়েছিল। সেই কারণে, শৌভিকের অ্যাকাউন্টের ওরই টাকা নাকি ট্রান্সফার করেছিলেন রিয়া। সংস্থা খোলা এবং তার অর্থ নয়ছয় হওয়া নিয়ে যে কথা রটেছে তা পুরোপুরি মিথ্যা বলেও দাবি করেছেন রিয়া। সুশান্ত যে মানসিকভাবে অসুস্থ তা নাকি ইউরোপ ট্রিপের সময়ই জানতে পেরেছিলেন রিয়া। এর পরেই একরকম তাঁদের সম্পর্কে ভাঙন ধরে।