আত্মহত্যার মামলায় কুণালকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। এমএলএ এমপি আদালতের বিচারক মনোজিৎ ভট্টাচার্য বলেছেন, আত্মহত্যার চেষ্টা হয়েছিল কিন্তু শাস্তি দেব না। শুধু ওকে বলব, এই সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল না। আপনি যে লড়াই করেছেন , করুন। যত অবসাদই আসুক, আত্মহত্যায় সমস্যার সমাধান হয়না। এই মামলার রায় দানের পর বিচারক আরো বলেন, আপনি বিশিষ্ট সাংবাদিক। প্রতিষ্ঠিত ঘরের সন্তান। আপনার থেকে সমাজ অনেক কিছু আশা করে। আপনি মামলা আইনে লড়ুন। কাজ চালিয়ে যান।'
২০১৩ সালে একটি বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার আর্থিক তছরুপের মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল কুণাল ঘোষকে। তাকে তখন প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে রাখা হয়। ২০১৪ সালে ১৩ নভেম্বর সংশোধনাগারের মধ্যে আচমকাই জেলের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন কুণাল ঘোষ। সেই সময় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, কুণাল ঘোষ একসঙ্গে অনেকগুলি ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। এরপরেই কুণাল ঘোষকে এসএসকেম-হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বিধাননগরের এমএলএ এমপি আদালতে কুণাল ঘোষের আত্মহত্যার চেষ্টার মামলা বহু দিন ধরেই চলে। এই মামলায় জেলের রক্ষী থেকে কয়েদী, অনেকরই সাক্ষ নেওয়া হয়েছে। অনেক পুলিশ কর্তারও স্বাক্ষ নেওয়া হয়। যদিও কুণাল ঘোষের শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, তার পেটের ভিতর অনেকগুলি ঘুমের ওষুধ ছিল।
এই মামলায় রায় প্রসঙ্গে এমএলএ এমপি আদালতের বিচারক মনোজিৎ ভট্টাচার্য বলেছেন, আত্মহত্যার চেষ্টা হয়েছিল কিন্তু শাস্তি দেব না। শুধু ওকে বলব, এই সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল না। আপনি যে লড়াই করেছেন , করুন। যত অবসাদই আসুক, আত্মহত্যায় সমস্যার সমাধান হয়না। এই মামলার রায় দানের পর বিচারক আরো বলেন, আপনি বিশিষ্ট সাংবাদিক। প্রতিষ্ঠিত ঘরের সন্তান। আপনার থেকে সমাজ অনেক কিছু আশা করে। আপনি মামলা আইনে লড়ুন। কাজ চালিয়ে যান।' অপরদিকে, কুণাল ঘোষ বলেন, 'বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের শিকার আমি। সেদিন যারা বলেছিলেন, আমি পাগল, নাটক করছি। এখন প্রমাণিত হয়েছে। রাজ্য সরকারের পুলিশ প্রমাণ করে দিল যে, আমি কোনওদিনও নাটক করিনি। বিচারক আজ আমাকে একটু তিরঙ্কারই করেছেন বলা যায়।' কুণাল ঘোষের আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী বলেছেন, '৩০৯ ধারায় যে মামলাটি চলছিল, তাতে কুণাল ঘোষ দোষী সাবস্ত হয়েছেন। কিন্তু আদালত তাকে কোনও শাস্তি দেয়নি। অর্থাৎ তার কোনও জরিমানা বা জেল হয়নি। আদালত বলেছে, সমাজ ওর থেকে অনেক কিছু আশা করে।'