খেতে পারেন ১ কিলো চালের বেশি ভাত। শিরোনামে এখন বীরভূমের হীড়াবাঁধের দুলালচন্দ্র মূর্মূ। হীড়াবাঁধের পড়্যারডাঙ্গা গ্রামে বাড়ি দুলালচন্দ্র মূর্মূ-র। মহুরীর কাজ করেন খাতড়া মহকুমা আদালতে। রোজ ১৬ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে কর্মস্থলে যান। দুপুরের খাওয়া-দাওয়া খাতড়া এসডিও মোরের হোটেলে। দুলালের পেটুকপনায় বেজায় খুশি হোটেল মালিক। ১ কিলো চালের ভাত খেয়ে নিলেও মাত্র ৫০ টাকা নেন তিনি।
খেতে ভালোবাসেন। আর বাড়তি খাওয়া-দাওয়ার ফলে যে তাঁর কোনও শারীরিক অসুস্থতা এমনটাও নেই। কথা হচ্ছে বাঁকুড়ার দুলালচন্দ্র মূর্মূ-র বিষয়ে। বাঁকুড়ার হীড়াবাঁধের পড়্যারডাঙ্গা গ্রামে বাড়ি তাঁর। রোজ ১৬ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে কর্মস্থল খাতড়া মহকুমা আদালতে যান। সেখানে মুহুরীর কাজ করেন। দুপুর হলেই মধ্যাহ্নভোজের জন্য তিনি যান খাতড়ায় এসডিও মোড়ের কাছে একটি হোটেলে। আর সেখানে নিমিষে ১ কিলো চালেরও বেশি ভাত খেয়ে নেন তিনি। এটা নাকি দুলালের রোজকার খাদ্যাভাস। বাড়িতে থাকলেও এর থেকে বেশি খাওয়া হয়ে যায়। তবে, এই ১ কিলো চালের বেশি ভাত খাওয়ার জন্য হোটেল মালিক কোনও বাড়তি অর্থ নেন না দুলালের কাছ থেকে। হোটেল মালিক জানিয়েছেন ৫০ টাকা করে যেমন অন্য খদ্দেরদের কাছ থেকে তিনি নেন, দুলালের ক্ষেত্রেও তেমনি। হোটেল মালিকের মতে, এই সময়ে মানুষ তো খাওয়া-দাওয়াটাই ভুলে গিয়েছে। সেখানে দুলালকে এতটা পরিমাণে খেতে দেখে তাঁর খুব ভালো লাগে। সবচেয়ে বড় কথা মানুষটার শরীরে এর জন্য কোনও সমস্যাও তৈরি হয় না। দুলালের সহকর্মী আইনজীবী সাগেন মূর্মূ-র মতে, দুলাল যে এতটা পরিমাণে খেতে পারেন সেটা ভেবে তাঁদের গর্ব হয়। তাঁরা কোনও বিয়ে বাড়িতে গেলে দুলালকে সঙ্গে নিয়ে যান। সম্প্রতি এমন একটি বিয়ে বাড়িতে দুলাল ৫০টা নান খেয়ে নিয়েছিল। সঙ্গে আবার কিলোখানেক মাংস। এরপর আবার ৫০টা রসগোল্লা। যা দেখে অবাক হয়েছিলেন বিয়ের বাড়ির অন্য সব অতিথিরা।