দেওরের প্রেমে বউদি পারি জমিয়েছিল এক অন্য জগতে। স্বামীর হাতে ধরাও পড়ে যায় বউদি রূপালি পাত্র, এই নিয়ে ঝামেলা। স্বামী কৃষ্ণের বাধা মেনে নিতে পারছিল না। রূপালি, শেষমেশ নিকেষ স্বামী। এই হাড় কাঁপানো খুনের ঘটনা পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নার চাঁদি বেনিয়া গ্রামে। পুলিশের হাতে ধরাও পড়ে যান রূপালী পাত্র, জিজ্ঞাসাবাদেই সব বলে দেয় সে। বউদির সঙ্গেই খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে দেওর বলরাম পাত্র। শনিবার বউদি ও দেওরকে নিয়ে খুনের ঘটনার পূনর্নিমার্ণ করে পুলিশ। রূপালি পাত্র ও বলরাম পাত্রকে নিয়ে পুলিশ হাজির হয়েছিল গ্রামে।
কীভাবে খুন হয়েছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নার বাকচা অঞ্চলের চাঁদ বেনিয়া গ্রামের কৃষ্ণ পাত্র? কীভাবে ঘূমন্ত কৃষ্ণ-র মাথায় শাবলের লাগাতার বাড়ি দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করেছিল রূপালি? ময়না হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করল পুলিশ। এদিন চাঁদ বেনিয়াগ্রামে খুন হওয়া কৃষ্ণ পাত্রের স্ত্রী রূপালি পাত্র-কে নিয়ে যাওয়া হয়। সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল রূপালির প্রেমিক তথা কৃষ্ণ পাত্রের ভাই বলরামকেও। পুলিশের দাবি, কৃষ্ণ-র খুনে রূপালি এবং বলরাম যে জড়িত তা তারা স্বীকার করে নিয়েছে। কীভাবে কৃষ্ণকে খুন করা হয়েছিল তাও বিস্তারিতভাবে পুলিশকে জানিয়েছে তারা। মঙ্গলবার চাঁদ বেনিয়া গ্রামে একটি নালার পাশ থেকে কৃষ্ণর দেহ উদ্ধার হয়। পেশায় সে ইঁটভাটার শ্রমিক ছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বলরামের সঙ্গে রূপালি-র সম্পর্ক রয়েছে তা জানতে পেরে গিয়েছিল কৃষ্ণ। এই নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বচসা লেগেই থাকত। শেষ পর্যন্ত কৃষ্ণকে খুনের পরিকল্পনা করে রূপালি। মঙ্গলবার রাতে টিভি দেখতে দেখতে বারান্দার খাটে ঘুমিয়ে পড়েছিল কৃষ্ণ। আর সেই সুযোগে ঘুমন্ত কৃষ্ণ-র মাথায় লাগাতার শাবল দিয়ে বাড়ি মারে রূপালি। কৃষ্ণর মৃত্যু হলে রূপালি ফোন করে ডেকে নিয়েছিল বলরামকে। এরপর কীভাবে কৃষ্ণ-র দেহ দুজনে সরাল, খুনের বাকি প্রমাণ লোপাটের জন্য তারা কি করেছিল? তা এদিন পুলিশের সামনে অভিনয় করে দেখায় রূপালি এবং বলরাম।