অসমের ভোগেশ্বরী ফুকানানি ছিলেন ৮ সন্তানের জননী। কিন্তু স্বাধীনতা আন্দোলনে তাঁর অবদান আজও স্মরণীয়। অসমের বেহরামপুরের গৃহবধূ ভোগেশ্বরী ফুকানানি ৬০ বছর বয়সে স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। এত বয়সে এক মহিলার সাহস এতটাই সকলের নজর কেড়েছিল যে আজ স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষপূর্তিতে তাঁর নাম সমানভাবে উচ্চারিত হচ্ছে।
ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন নিয়ে কথা বলতে গেলে অবশ্যই সেই মহিলার কথা অবশ্যই স্মরণে আনতে হবে যাদের কাজ ছিল ঘর সংসার সামলানো। এদের মধ্যে কেউ বিধবা, কেউ বিবাহিত গৃহবধূ, কেউ আবার বয়সে অনেকটাই প্রবীণ। কিন্তু, স্বাধীনতার শূঙ্খল মোচনে এরাঁ একটা সময় প্রকাশ্যে বেরিয়ে এসে ইংরেজ ভারত ছাড়ো আওয়াজ তুলেছিলেন। এই সব মানুষদের কথা বলতে গেলে অবশ্যই বলতে হবে অসমের বেহরামপুরের ভোগেশ্বরী ফুকনানির কথা। যিনি ৬০ বছর বয়সে ভারত ছাড়ো আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। ৮ সন্তানের জননী ছিলেন ভোগেশ্বরী। এর জন্য দেশমাতৃকার শৃঙ্খলমোচনের আন্দোলনে অংশ নেওয়াটা আটকায়নি। ১৯৪২-এর আন্দোলনের সময় মহাত্মা গান্ধী আরও বেশি করে মহিলাদের অংশগ্রহণকে আহ্বান জানিয়েছিলেন। ভোগেশ্বরী ফুকনানি-র মতো মহিলারা সেই ডাকে সাড়া দিয়েছিলেন। জীবনের মন্ত্র বানিয়ে নিয়েছিলেন হয় করবো না হয় মরবো স্লোগানকে। ভোগেশ্বরী ফুকনানির সঙ্গে ভারত ছাড়ো আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন কনকলতা বড়ুয়া, কাহুলি নাথ, তিলেশ্বরী বড়ুয়া ও কুমালি নিয়োগরা। ভারত ছাড়ো আন্দোলনে অংশ নিয়ে এই প্রমিলারা শহিদের মৃত্যু বরণও করেছিলেন। তাই ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাস মানে মুষ্টিমেয় কিছু মানুষের কথা নয়, এই সংগ্রামের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে সমগ্র ভারতবাসীর রক্ত ও আত্মবলিদান। যার মধ্যে ভোগেশ্বরী ফুকনানিদের মতো মহিলারও অন্যতম।