ওজন ১৫০ কেজি। পাতার সংখ্যা ৩০০০। অযোধ্য়ার রামমন্দিরের জন্য এমনই প্রকাণ্ড রামচরিতমানস তৈরি করেছেন জয়পুরের শিল্পী শরদ মাথুর। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী সরকারে আসার পর থেকেই তিনি এই প্রকাণ্ড রামচরিতমানস তৈরির কাজে হাত দিয়েছিলেন। তেলরঙের ব্যবহারে গত ছয় বছরে রূপ পেয়েছে এই গ্রন্থ। শরদ মাথুর জানিয়েছেন ছোটবেলায় তাঁরা রামায়ণের সুন্দরকাণ্ড পাঠ করতেন। সেই সময়ই তিনি দেখেছিলেন এই মহাকাব্য এমন ছোট হরফে লেখা যে তা চোখের জ্যোতি যাদের কমেছে, তাদের পক্ষে পাঠ করা প্রায় অসম্ভব। তাই সকলে যাতে রামচরিতমানস পড়তে পারেন সেই লক্ষ্যেই এত বড় করে বইটি করার ভাবনা আসে তাঁর মাথায়। তিনি জানিয়েছেন, অযোধ্যায় রামমন্দির হলে তিনি এই গ্রন্থটি দান করবেন বলে ঠিক করেছিলেন। আদালতের রায়ে রামমন্দিরের রাস্তা পরিষ্কার। এবার শরদ মাথুর যত দ্রুত সম্ভব বাকি থাকা কাজ শেষ করতে চান।