এখন পর্যন্ত যা খবর তাতে বৃহস্পতিবার অসমের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। এখনও পর্যন্ত অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। গৃহহারা মানুষের সংখ্যা লাখ পেরিয়ে গিয়েছে। সবমিলিয়ে প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
এই একটা ভিডিও যা এখন নেটদুনিয়ার ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই ছবিটা ১৫ মে সামনে আসে। ছবিটি অসমের হাফলং স্টেশনের। দেখা যাচ্ছে কীভাবে হড়পা বান আর লাগাতার বৃষ্টিতে ডুবে গিয়েছে পুরো স্টেশন চত্বর। এমনকী, স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেন ও ট্রেনের কামরাগুলোর ভিতও ডুবে গিয়েছিল কাদামাটিতে আর জলে। মাঝে মাঝে দুলে উঠছে ট্রেন। নেটিজেনরা লিখেছে বৃষ্টিতে যেভাবে ট্রেনের কামরাগুলো দুমড়ে-মুচড়ে উঠছে তা সত্যিকারে ভয় পাইয়ে দেয়। এমন ছবি কোনও দিন দেখা যায়নি। এদিকে, এমন ভয়াবহ ছবির মধ্যেই সামনে এসেছে এক বিতর্কিত ভিডিও। বৃহস্পতিবার সর্বসমক্ষে আসা এই ভিডিও-তে দেখা গিয়েছে যে লামডিং-এর বিজেপি বিধায়ক এক উদ্ধারকর্মীর পিঠে গলা ধরে ঝুলে বোটে গিয়ে উঠছেন। বিজেপি বিধায়ক শিবু মিশ্র এই এলাকায় গিয়েছিলেন লাগাতার বর্ষণে তৈরি হওয়া বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে। এমনকী যেখানে তিনি উদ্ধারকর্মীর পিঠে চেপেছেন সেখানেও জল হাঁটুর নিচে। স্বাভাবিকভাবেই বিজেপি বিধায়কের এমন আচরণে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এখন পর্যন্ত যা খবর তাতে বৃহস্পতিবার অসমের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। এখনও পর্যন্ত অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। গৃহহারা মানুষের সংখ্যা লাখ পেরিয়ে গিয়েছে। সবমিলিয়ে প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। অসমের ২৭ টি জেলা বন্যা কবলিত। ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের মধ্যে এক লক্ষ পঁচিশ হাজার চারশ একানব্বই জন শিশু এবং দুই লক্ষ চুয়াল্লিশ হাজার দুশ ষোল জন মহিলা। এখনও পর্যন্ত যা খবর তাতে অন্তত ১০ হাজার বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। ২৭টি জেলার চোদ্দশ চোদ্দটি গ্রাম বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ। ছেচল্লিশ হাজার একশ ষাট হেক্টর চাষের জমি এখন জলের তলায়। রাজ্যজুড়ে ১৩৫টি ত্রাণ শিবিরে মাথা গুঁজেছে আটচল্লিশ হাজার তিনশ চার জন মানুষ। সবেচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ জেলাগুলির মধ্যে রয়েছে কাছার, ডিমা হাসাও, হোজাই, নওগাঁ, চরাইদেও, দারাং, ডিমাজি, ডিব্রুগড়, বাজালি, বাক্সা, বিশ্বনাথ এবং লাখিমপুর।