পাড়ার হাতুড়ে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় বাদ যেতে বসেছিল পা। তাই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেন উত্তম দাস নামের এক ব্যাক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে বিধাননগর দক্ষিণ থানার ছয়নাভী এলাকায়। বছর ৪৩ -এর উত্তম দাসের গায়ে ব্যাথা নিয়ে গিয়েছিলেন ডাক্তারের চেম্বারে। সেখানে ডাক্তার তাকে দেখে দুটো ইঞ্জেকশন দেন তবে দেননি কোনও প্রেসক্রিপশন। পরে উত্তম বাবুর স্ত্রী জোরাজুরি করায় মেলে প্রেসক্রিপশন। তারপরেও কমেনি সম্যস্যা বরং বেড়ে যায় ব্যাথা। সেই কারণেই অন্য এক ডাক্তারের দারস্থ হন উত্তম বাবু। সেই ডাক্তার জানান প্রেসক্রিপশনে ইঞ্জেকশনের কোনও উল্লেখ নেই। এর মধ্যেই পচতে শুরু করে দেয় তাঁর পা। এর পরে একাধিক হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। সব হাসপাতাল থেকেই তাকে জানায় পা কেটে বাদ দিতে হবে তাঁর। অবশেষে এক ডাক্তারের চিকিৎসায় এখন কিছুটা সুস্থ তিনি। তবে হারিয়েছন হাঁটার ক্ষমতা। অভিযুক্ত ডাক্তারের নাম কে কে ঘোষ। তার বিরুদ্ধেই বিধাননগর দক্ষিণ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন উত্তম বাবু। তবে তাতে কোনও লাভ হয়নি বলে দাবি তাঁর।