নবান্ন অভিযান ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল গোটা কলকাতা। মিছিল থেকে উদ্ধার হল আগ্নেয় অস্ত্র। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হয় কোনা এক্সপ্রেসওয়ে। এছাড়াও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল হাওড়া ময়দান চত্বরও। বুধবার রাত থেকেই বিজেপি সমর্থকরা আসতে শুরু করে হাওড়াতে। দুটি মিছিল করে নবান্নে যাওয়ার পরিকল্পনা হয়ে ছিল। সেই মতই পুলিশের দুটি রাস্তাই সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেয়। বেলা ১২ টায় দুটি মিছিল নবান্নের দিকে এগোতে শুরু করে। দুই প্রান্ত থেকেই আটকানো হয় তাদের। পুলিশ আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে জলকামান চালায়। সেই সঙ্গে ফাটানো হয় একাধিক টিয়ার গ্যাসের শেল। ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ এর পক্ষ থেকে লাঠিচার্যও করা হয়। আন্দোলনকারীরাও পুলিশকে লক্ষ্য ছুঁড়তে থাকে ইট ও কাচের বোতল। এমনকি সাইকেলের টায়ার জ্বালিয়েও ছোড়া হয় পুলিশকে লক্ষ্য করে। ভাঙ্গা হয় পুলিশ কিওস, বাস স্ট্যান্ড এমনকি বেসরকারি বিজ্ঞাপনের হোডিংও। এরইমধ্যে মিছিল থেকে উদ্ধার হয় নাইন এমএম একটি পিস্তল। সব মিলিয়ে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় হাওড়া-ময়দান চত্ত্বর। সেখানেই ছোড়া হয় রঙীন জলের গোলা। আর তাতেই নাকি অসুস্থ হয়ে পড়েন রাজ্য বিজেপির নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ওড়ালেন অভিযোগ। মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, রাসায়নিক নয় হোলির রঙের জল। বিজেপি অবশ্য রাসায়ানিক স্প্রে-র অভিযোগেই অনড়।