অগাস্ট থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে মোট তিন দফায় তিনটি নোটিফিকেশন ইস্যু করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এই তিনটি নোটিফিকেশনই ছিল বিচারকদের পদোন্নতি নিয়ে। এরমধ্যে প্রথম মোটিফিকেশনটা জারি করা হয় ছয় অগাস্ট ২০১৯ সালে। যেখানে মোট ৩২ জন বিচারকের নাম জুনিয়র থেকে সিনিয়র পজিশনের জন্য সুপারিশ করা হয়। এমন ভাবে আরও দুটি তালিকা রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হয়। রাজ্য বিচার ব্যবস্থায় নিয়োগের বিষয়টি দেখে পাবলিক সার্ভিস কমিশন। কিন্তু, এই নিয়োগের মাধ্যমে একবার যিনি বিচার প্রক্রিয়ার কর্মী হিসাবে যোগ দেন তখন তার পদোন্নতি থেকে ট্রান্সফার সমস্তটাই দেখার দায়িত্ব কলকাতা হাইকোর্টের। সংবিধানের এর জন্য বিচার ব্যবস্থা-কে বিশেষ ক্ষমতাও অপর্ণ করা হয়েছে। ফলে ফি বছর রাজ্যে বিচার ব্যবস্থায় পদোন্নতি সংক্রান্ত সমস্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের হাইোকোর্ট। রাজ্য সরকারের কাজ হল সেই তালিকায় থাকা নামগুলিকে গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে প্রকাশ করা এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা কার্যকর করে দেওয়া। হাইকোর্টের পাঠানো পদোন্নতির তালিকার উপরে খবরদারি করার কোনও এক্তিয়ার রাজ্য সরকারের নেই বলেই দাবি বিচারকদের একাংশের।
এই মোতাবেক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারেরও কলকাতা হাইকোর্টের পাঠানো পদোন্নতির তালিকাকে অক্টোবরের মধ্যে কার্যকর করতে হত। কিন্তু তেমনটা না হওয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধেই সাংবিধানিক অধিকারকে খর্ব করার অভিযোগ উঠেছে। কলকাতা হাইকোর্ট সূত্রে খবর, এই তালিকা নিয়ে রাজ্য সরকারের জুডিশিয়াল সেক্রেটারির সঙ্গে বহুবার কথা বলা হয়েছে কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
সূত্রের খবর কলকাতা হাইকোর্টের পাঠানো তালিকায় এমন কিছু বিচারকের নাম রয়েছে যাদের দেওয়া রায় গত এক বছরের রাজ্য সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলেছে। এই সব রায়ের বেশিরভাগটাই ছিল রাজনৈতিক ইস্যুকে নিয়ে। রাজ্য সরকারের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের নাকি পদোন্নতির তালিকায় থাকা এই নামগুলি নিয়ে আপত্তি রয়েছে। যার জন্য ৮০ জন বিচারকেরই পদোন্নতি আটকে গিয়েছে।