রাতের কলকাতায় রাস্তা ধরে এদিক-ওদিক ছুঁটে বেড়াচ্ছে এক তরুণী। যার শরীরের উপরাংশে কোনও পোশাক-ই নেই। খালি পরণে রয়েছে জিনসের প্যান্ট। আর সেই অর্ধনগ্ন তরুণীর পিছনে বাবা-বাছা বলে দৌঁড়ে বেড়াচ্ছে একদল পুলিশকর্মী। তরুণীর কাছাকাছি হলেই পুলিশকর্মীদের উদ্দেশে ভেসে আসছে হুমকি এবং শাসানি। রাতের কলকাতায় রেড রোডে তখন পুলিশের সঙ্গে ওই তরুণীর যেন কানামাছি খেলা চলছে। মাঝে-মাঝে দাঁড়িয়ে পড়ছে তরুণী, ফের এদিক-সেদিক ঘুরে বেড়ানো। পুরুষ পুলিশকর্মীদের কয়েক জন তখন অল্পবিস্তর আহত। কারণ, ওই তরুণী হয় ওই পুলিশকর্মীদের খামচে দিয়েছেন না হলে কিল-চড় ঘুষি চালিয়ে দিয়েছেন। শেষমেশ মহিলা পুলিশকর্মী আসতেই হিল্লে হল। মহিলা পুলিশকর্মী সটানে ধরে ফেলল ওই তরুণীকে। তারপরে পুলিশ ভ্যানে তুলে আটকে দিল দরজা। কিন্তু, কে এই দুঃসাহসীনি, যিনি রাত ১১টার সময় শরীরের ঊর্ধ্বাঙ্গের পোশাক এক্কেবারের ছেড়ে ফেলে প্রতিমা বেদী-র কায়দায় যেন রেস লাগিয়েছিলেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ওই তরুণীর বাড়ি পদ্মপুকুর এলাকায়। অল্প বয়সেই বাবা-কে হারিয়েছেন। মা এবং বোনদের সঙ্গে থাকেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে ময়দানে বসে মদ্যপান করেন ওই তরুণী। এরপর আচমকাই বরফ্রেন্ডের কাছে পার্টস ও ব্যাগপত্তর জমা রেখে ছুট মেরেছিলেন রাস্তা লক্ষ করে। এরপর রাত ১১টা নাগাদ তাঁকে ঊর্ধ্বাঙ্গের পোশাক ছাড়া রেড রোডে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। রাতের দিকে ময়দান থানায় এসে তরুণীকে বাড়িতে নিয়ে যায় তাঁর পরিবার।