একদিন বাবার রেকর্ডিং করা গান শুনে নিজেরাও গুনগুন করে ওঠে। তানি-মুনির এমন কীর্তি দেখে অবাক দেবাশিস ও তৃপ্তি। কারণ তখন তাঁদের দুই যমজ মেয়ের বয়স তিন বছর। আর যে গান শুনে দুই বোন গুনগুন করছিল সেটাও যথেষ্ট কঠিন গান। কিন্তু দুই বোন অনায়াসে গেয়ে যাচ্ছিল সেই গান। দেবাশিস জানিয়েছেন, মনে হচ্ছিল তাঁর দুই মেয়ের গলায় যেন সাক্ষাৎ সরস্বতী ভর করেছে। গান শুনে অবাক তানি-মুনির মা তৃপ্তি। দেবাশিস ও তৃপ্তি দু'জনে মিলে ঠিক করলেন মেয়েদের গানের প্রারম্ভিক তালিম দেওয়া হবে। কিন্তু শিক্ষক। স্ত্রী তৃপ্তির জেদাজেদিতে তানি-মুনির শিক্ষক বনে গেলেন বাবা দেবাশিস। কারণ, দেবাশিসও স্কুল ও কলেজ লাইফে ক্লাসিক্যালের তালিম নিয়েছিলেন। তবে, পেশাগত জীবনের ব্যস্ততায় গানকে আর কেরিয়ার করা সম্ভব হয়নি। ফলে, মেয়েদেরকে গানের তালিম দিতে দিতে নিজের স্বপ্নকে যেন ফেরি করতে শুরু করেছিলেন দেবাশিস। তাঁর দেওয়া তালিমে মেয়েদের প্রতিভাকে সযত্নে লালিত করতে থাকেন তৃপ্তি। ২০১৯-এর মধ্যমগ্রামে দেবাশিস-তৃপ্তিদের আবাসনে দুর্গাপুজোর সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় গান গেয়ে তাক লাগিয়ে দেয় তানি-মুনি। শুরু হয়ে যায় দুই বোনের প্রতিভার যাত্রা। এই মুহূর্তে ইউটিউব থেকে ফেসবুক-সবখানে ভাইরাল হচ্ছে তানি-মুনির গানের ভিডিও। এশিয়ানেট নিউজ বাংলার সঙ্গে কথা বলেছে দুই বোন তানি-মুনি।