আক্রান্ত দিলীপ ঘোষ। কোচবিহারের শীতলকুচিতে দিলীপ ঘোষের জনসভায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে, শীতলকুচির কলেজ মাঠে জনসভা করছিলেন দিলীপ ঘোষ। বুধবার বিকেল সাড়ে চারটা নাগাদ সেখানে এসে পড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা ফেরত অসংখ্য তৃণমূল কর্মী ও সমর্থক। অভিযোগ, তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকদের হাতে ছিল বাঁশ এবং লাঠি। এমনকী বিজেপি-র সভা দেখে অনেক তৃমমূল কর্মী ও সমর্থক হাতে ইট ও পাথর তুলে নেয় বলে অভিযোগ। মারমুখি ভিড়কে দেখে উত্তেজনা ছড়ায় দিলীপ ঘোষেয়র জনসভায় থাকা বিজেপি কর্মী ও সমর্থকদের। দিলীপ ঘোষ এই সময় বারবার মাইকে বিজেপি কর্মী ও সমর্থকদের সংযত থাকার নির্দেশ দেন। ইতিমধ্যে বিজেপি কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, তাঁর সভাস্থলে পর্যাপ্ত পুলিশ ছিল না। তিনি জেলা পুলিশ আধিকারিকদের ফোন করে বাড়তি পুলিশবাহিনী চেয়ে পাঠান। দিলীপ ঘোষের দাবি, কোনওভাবেব উন্মত্ত জনতাকে তিনি সংযত করে রেখেছিলেন। পুলিশ এসে তাঁকে এলাকা না ছাড়ার পরামর্শ দেন। দিলীপ ঘোষেয়র অভিযোগ, এরপরই আচমকা সভাস্থলে আরও উত্তেজিত জনতাকে আসতে দেখে তিনি গাড়িতে ওঠার চেষ্টা করেন। কিন্তু, তার আগেই সভাস্থল লক্ষ করে বোমাবাজি হতে থাকে। তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করেও বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে কোনও মতে গাড়ি নিয়ে এলাকা ছাড়েন দিলীপ ঘোষ। সেই সময় তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়। এই ইটের আঘাতে দিলীপ ঘোষের গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। ইটের আঘাত লাগে তাঁর হাতে। এমনকী গাড়ির ভাঙা কাচের টুকরো শরীরে বিঁধে যায়। সভাস্থলে থাকা অন্যান্য গাড়িতেও ভাঙচুর হয়। দিলীপ ঘোষের উপরে হামলার ঘটনায় কলকাতা এবং রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি।