
বছরে একটাও বিয়েবাড়ি না যেতে পারলে মনটা ভারি খারাপ হয়ে যায়। যদি বলি এবার সারাবছরই বিয়ের মরসুম উপভোগ করতে পারবেন। নাচ গান খাওয়া সাজুগুজু আনন্দ সবই থাকবে, শুধু বর কনে থাকবে না। কাগজে কলমে বিয়ে বা বিয়ের কোনো আচার আচরণ থাকছে না এতে। হ্যাঁ, ঠিকই শুনছেন, এমনটাই এখন ট্রেন্ড দিল্লির ফেক পার্টির দুনিয়ায়।
সোশ্যাল মিডিয়া পেশাদার অবন্তিকা জৈন একদিন ইনস্টাগ্রামে একটি সংগীত পার্টির বিজ্ঞাপন দেখেন। স্বপ্ন পূরণ হওয়ার আনন্দে আর বসে থাকতে পারেন নি। বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে নিয়ে জনপ্রতি মাত্র ৫৫০ টাকার টিকিট কেটে বেরিয়ে পড়লেন বিয়েবাড়ির ভাইব পেতে। দক্ষিণ দিল্লির মেহরৌলির একটি রুফটপ রেস্তোরাঁ ‘জাইলো’ -তে সেদিন ছিল ফেক সংগীত পার্টি।
প্রায় শ'খানেক তরুণ-তরুণী জড়ো হয়েছিলেন সেখানে শুধুমাত্রই বিয়েবাড়ির ভাইব নেবে আর সেজেগুঁজে মত্ত হয়ে নাচবে বলে। একেবারে স্ট্রিক্টলি ট্রাডিশনাল বিয়েবাড়ির ড্রেসকোড। পার্টির থিম সংগীত পার্টির রাত। ঢোল, মেহেন্দির স্টল, রঙিন সব ফুল সাজানো, ফটো বুথ, হিন্দি-পাঞ্জাবি ব্যাঙ্গার প্লেলিস্টে উদ্দম নাচের জোয়ারে গা ভাসায় সবাই। শুধু Gen Z রাই নয়, মেতে ওঠেন বয়স্করাও।
কিভাবে এই ফেক সংগীত পার্টির ভাবনা?
২০২৪ সালের ডিসেম্বরে একটা ইভেন্ট কোম্পানি শুরু হয় যার নাম “জুম্মা কি রাত”। এরা এখনও পর্যন্ত এধরণের ২টি নকল বিয়ের পার্টি আয়োজন করেছিলেন। সেখান থেকেই শুরু এবং ভাবনার প্রসার এখন ট্রেন্ডে তরুণ তরুণীদের মধ্যে। এমন ফেক পার্টিগুলো আয়োজন করার আসল উদ্যেশ্যই হলো বিয়ের কোনো পারিবারিক দায়বদ্ধতা ছাড়াই আনন্দ উপভোগ করার চেষ্টা।
বিয়েতে ডান্স কোরিওগ্রাফি ইনস্টিটিউট, অনেক ওয়েডিং ফটোশুট টিম নিজেদের প্রচার ও সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল কন্টেন্ট নির্মাণের জন্য এই ধরণের বিয়ের ফেক পার্টির আয়োজন করে থাকে। বিদেশে থাকা শিক্ষার্থী বা প্রবাসীরা নিজেদের সামাজিকীকরণ, উৎসব ও সংস্কৃতি উদযাপনের জন্য নাচ গান খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা সোহো সাজগোজ করে এমন নকল বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে।