অমিত শাহ-র সভা যেন দল বদলের শোভাযাত্রা, একই হাওয়ায় গা ভাসালো ঘাসফুল ও কাস্তে-হাতুড়ি

অমিত শাহ-র সভা যেন দল বদলের শোভাযাত্রা

সময় যত যাচ্ছে ততই যেন ভাঙছে তৃণমূল

হাওয়ায় গা ভাসালেন আরও এক তৃণমূল বিধায়ক

পদ্মাসনে বসার হাওয়ায় ভাঙছে লাল দূর্গও

 

Asianet News Bangla | Published : Dec 18, 2020 5:30 PM IST / Updated: Dec 18 2020, 11:01 PM IST

শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুইদিনের বাংলা সফরে আসছেন অমিত শাহ। বাকি সব কর্মসূচি ছেড়ে সকলের চোখ পশ্চিম মেদিনীপুরের সভায়। সভা তো নয় যেন দল বদলের শোভাযাত্রা। সময় যত যাচ্ছে ততই যেন ভাঙছে তৃণমূল। ডিসেম্বরের হাওয়ায় এবার গা ভাসালেন আরও এক তৃণমূল বিধায়ক। দল ছাড়লেন বনশ্রী মাইতি। তবে ঘাসফুল শিবিরের এই পদ্মাসনে বসার হাওয়ায় ভাঙছে লাল দূর্গও। একই সভায় দুই বাম বিধায়কও বিজেপিতে যোগ দেবেন বলে শোনা যাচ্ছে।

এদিন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-এর কাছে চিঠি পাঠিয়ে তৃণমূল সাধারণ সদস্যপদ ত্যাগ করেন উত্তর কাঁথি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক বনশ্রী মাইতি। যদিও বিধায়ক হিসাবে কিছু দায়িত্ব পালন করার আছে, এই যুক্তিতে বিধায়ক পদটি ছাড়েননি তিনি। কোনওরকম রাখঠাক না করেই তিনি জানিয়েছেন, শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরেই তিনি দল ছাড়ছেন এবং শনিবার মেদিনীপুরে অমিত শাহের সমাবেশে বিজেপিতে যোগ দেবেন।

এদিন সকালেই দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন আরেক তৃণমূল বিধায়ক শিলভদ্র দত্ত। একইসঙ্গে বেশ কয়েকজন জেলা স্তরের গুরুত্বপূর্ণ তৃণমূল নেতা শুভেন্দুকে অনুসরণ করছেন। রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব অবশ্য রহস্য রেখে বলেছে, অমিত শাহের মেগা সমাবেশে তৃণমূল থেকে বিজেপি-তে আসা নেতাদের তালিকা আরও লম্বা হবে। তবে শুধু তৃণমূল নয়, শুভেন্দু অধিকারীর দল ছাড়ায় যেন রাজ্য রাজনীতিতেই দল বদলের হাওয়া লেগে গিয়েছে, অন্তত শুভেন্দুর নিজের গড়ে তো বটেই।

পুর্ব মেদিনীপুর জেলার দুই বাম বিধায়কও শনিবার ওই একই সভায় লাল জার্সি ছেড়ে গেরুয়া জার্সি পরবেন বলে শোনা যাচ্ছে। এই দুই বিধায়ক হলেন - হলদিয়ার সিপিএম বিধায়ক তাপসী মণ্ডল এবং তমলুকের সিপিআই বিধায়ক অশোক দিন্দা। তবে দুজনের কেউই এই বিষয়টি স্বীকার করেননি। তাপসী অবশ্য দলের প্রতি তাঁর ক্ষোভ ব্যক্ত করেছেন। হলদিয়ার বিধায়ক-এর অভিযোগ বিধায়ক হিসাবে তাঁকে স্বাধীনতা দেয়নি দল। দলে মাটির সঙ্গে যোগ যাদেকর তাদের বাদ দিয়ে অন্যান্য নেতাদের বেসি গুরুত্ব দেওয়া হয়। সিপিএম-এর আগামী কর্মসূচির রূপরেখাও তাঁর কাছে স্পষ্ট নয়। বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার বিষয়টি জনগণের ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল বলে এড়িয়ে গিয়েছেন।   

 

Share this article
click me!