অমিত শাহ-র আসার এগিয়ে আসতেই নড়ে চড়ে বসছে 'পুতুল'রা
ভাঙন বেড়েই চলেছে তৃণমূল কংগ্রেসে
\শুক্রবার দল ছাড়লেন মেদিনীপুর পুরসভার প্রাক্তন পৌর প্রধান প্রণব বসু
শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী হিসাবেই পরিচিত তিনি
অমিত শাহ-র বাংলায় আসার দিন যত এগিয়ে আসছে ততই যেন ভাঙন বাড়ছে তৃণমূল কংগ্রেসে। শুক্রবার শুভেন্দু অদিকারীর পিছন পিছন দল ছাড়লেন তাঁর অনুগামী তথা পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃণমূল নেতা প্রণব বসু। গত ১০ বছর ধরে তৃণমূল পরিচালিত মেদিনীপুর পুরসভার পৌর প্রধান ছিলেন তিনি। এদিন বেলা ১ টা নাগাদ তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি-র কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন প্রণব।
মেদিনীপুর পুরসভার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর প্রণব বসুকেই প্রশাসক হিসেবে রাখা হয়েছিল। একইসঙ্গে তিনি ছিলেন জেলা পরিষদের মেন্টর। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীর প্রতি সমর্থন প্রকাশ করার পরই তাঁকে পুর প্রশাসকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এরপর নিজেই জেলা পরিষদের মেন্টর পদ থেকে সরে এসেছিলেন। শুক্রবার তৃণমূলের জেলা কমিটির সদস্য এবং দলীয় সদস্যপদও ছেড়ে দিলেন প্রণব বসু। শনিবার মেদিনীপুরে অমিত শা-র সমাবেশে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গেই তিনি বিজেপিতে যোগ দান করবেন বলে জানিয়েছেন৷
কিন্তু কেন দল ছাড়লেন জেলার এই পরিচিত নেতা? প্রণব বসু দাবি করেছেন, বাধ্য হয়েই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি কারণ তাঁদের 'পুতুল' করে রাখা হয়েছিল। দলের কাজে কোনও কাজে কারোর পরামর্শটুকুও নেওয়া হতো না৷ ৷ তাঁর অভিযোগ, মমতা বন্দোপাধ্যায়ের হাতে আর তৃণমূলের রাশ নেই। দল চালাচ্ছেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায় ৷ দলে গণতন্ত্র আর নেই, চলছে একনায়ক তন্ত্র।
সেইসঙ্গে একমাত্র বিপদে পড়লেই শুভেন্দু অধিকারীকে ব্যবহার করা হতো বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। আর কাজ ফুরোলেই শুভেন্দু ফের গুরুত্ব হারাতেন। আগামী দিনে তৃণমূলে আমরা রাজনীতি করার স্থান পাবো না ৷ কিন্তু, ৪৫ ধরে রাজনীতি করার পর তাঁরা পুতুল হয়ে থাকতে চান না ৷ তাই শুভেন্দু অধিকারির হাত ধরে গেরুয়া শিবিরেই পা বাড়ালেন তিনি।