কেন্দ্র-রাজ্য টক্কর, বজ্রাঘাতে মৃতদের বাড়ি সাহায্য নিয়ে পৌঁছে গেলেন খোদ অভিষেক

  •  বজ্রাঘাতে মুর্শিদাবাদের ৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল
  •  বুধবার তাদের প্রত্য়েকের বাড়ি গেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
  •  শোকার্ত পরিবারগুলির হাতে তুলে দিলেন সাহায্য
  •  আর কড়া ভাষায় নিশানা করলেন নরেন্দ্র মোদীকে। 

Asianet News Bangla | Published : Jun 9, 2021 5:27 PM IST / Updated: Aug 29 2021, 07:08 PM IST

গত সোমবার বজ্রাঘাতে রাজ্যের বহু মানুষের প্রাণ গিয়েছে। আর এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেও কেন্দ্র-রাজ্য প্রহতিযোগিতার অবহ বজায় রইল। প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন, আর বুধবার বিকেলে বেহালা ফ্লায়িং ক্লাব থেকে হেলিকপ্টারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সোজা পৌঁছে যান মুর্শিদাবাদ জেলার বজ্রাঘাতে হতাহতদের বাড়িতে। তাদের হাতে সাহায্য তুলে দেন। দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেকের সফর সঙ্গী হন মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ তথা জেলা সভাপতি আবু তাহের খান, উদ্যান ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী সুব্রত সাহা, রাণীনগরের বিধায়ক সৌমিক হোসেন। 

দুপুর সওয়া ১টা নাগাদ বহরমপুর স্টেডিয়ামের হেলিপ্যাডে নামেন অভিষেক। এরপর গাড়ি নিয়ে যান বহরমপুরের মণীন্দ্রনগর এবং হাতিনগরে। বজ্রাঘাতে প্রয়াত প্রহ্লাদ মুরালী এবং অভিজিৎ বিশ্বাসের পরিবারবর্গের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। দুই বাড়িতেই বেশ কিছুটা সময় কাটান। শোকার্ত পরিবারগুলির হাতে আর্থিক সাহায্যও তুলে দেন অভিষেক। হাতে কাছে তাঁকে পেয়ে প্রয়াত প্রহ্লাদ মুরালির দুই ছেলে চাকরির আবেদনও জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীকে সেই চাকরির আর্জি জানানো হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন অভিষেক।  সেখান থেকে তিনি যান বজ্রপাতে গুরুতর আহত জয়রাম সোরেনের বাড়িতে। 

এরপর, আবার  হেলিকপ্টারে চড়ে রওনা দেন, জঙ্গিপুরের দিকে। সেখানকার রঘুনাথগঞ্জের মির্জাপুরের নওদা গ্রামের ওই দিন বাজ পড়ে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। সেই ৬ পরিবারের হাতেও সাহায্য তুলে দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক। প্রসঙ্গত, সোমবার বজ্রপাতে মুর্শিদাবাদ জেলায় মোট ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে - ৬ জন রঘুনাথগঞ্জের, ২ জন বহরমপুরের এবং ১ জন সুতির। প্রত্যেকটি পরিবারের সঙ্গেই এদিন দেখা করেন অভিষেক।

রঘুনাথগঞ্জের উদ্দেশে উড়ে যাওয়ার আগে অবশ্য তীব্র কটাক্ষে বিদ্ধ করেন প্রধানমন্ত্রী-সহ বিজেপি দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের। অভিষেক বলেন, 'আমরা চেষ্টা করব যাতে সারা বছর মৃতদের পরিবারের পাশে থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পারি। রাজ্য সরকার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির পাশে থাকবে। বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারের সময় যাঁরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে কলাপাতায় খাচ্ছিলেন, দিদি-দিদি বলে চিৎকার করছিলেন ,২ মে ভোটের ফল প্রকাশের পরে তাঁদের অনুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাই আমরা বলেছিলাম, পরিযায়ী আসে পরিযায়ী যায়, বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়। রাজ্য সরকার ও তৃণমূল সবসময় মানুষের পাশে রয়েছে ও থাকবে। কেন্দ্র সাহায্য ঘোষণা করে, কিন্ত মমতা সরকার সহায়তা পৌঁছে দিল।'

আরও পড়ুন - ডানা কেটে নিয়েছিল তালিবান, ছবিতে ছবিতে চিনে নিন আফগান বায়ুসেনার প্রথম মহিলা পাইলটকে

আরও পড়ুন- কাবুলে 'রুদ্ধ সঙ্গীত' - গানের স্কুলে ভাঙছে বাদ্যযন্ত্র, বাড়ছে তালিবানের আনাগোনা, দেখুন

আরও পড়ুন - মাইসুরুতে নির্ভয়া - গণধর্ষিতা ছাত্রী, বেধড়ক মার তাঁর প্রেমিককে, ২৪ ঘন্টা পরও অধরা দুষ্কৃতীরা

বজ্রপাতে মৃতদের পরিবার পিছু রাজ্য সরকারের পাশাপাশি আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করেছে প্রধানমন্ত্রীর দফতরও। মর্মান্তিক এই ঘটনায় সমবেদনা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী টুইট করে বলেছিলেন, 'পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় বজ্রপাতে যাঁরা নিজের স্বজন হারালেন তাঁদের সমবেদনা জানাই। প্রার্থনা করি, আহতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন।ট এরপর প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে বাংলার বিভিন্ন স্থানে বজ্রপাতে মৃতদের পরিবারকে দু’ লক্ষ টাকা করে আর আহতদের দেওয়া হবে ৫০ হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়া হবে। 

Share this article
click me!