তৃণমূলের 'খেলা হবে' শ্লোগানকে মুর্শিদাবাদের মাটিতে চ্যালেঞ্জ জানাল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর। বিধানসভা ভোট এগিয়ে আসতেই নিজের ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে মুর্শিদাবাদের রবিনহুড বলে পরিচিত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। আর সেই লক্ষ্যেই তৃণমূলের 'খেলা হবে' স্লোগানকে মুর্শিদাবাদের মাটিতে রুখে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন বুধবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।
শুরুতেই লালগোলা বিধানসভা কেন্দ্রে জোট প্রার্থী আবু হেনার হয়ে প্রচার শুরু করতেই হুংকার দিয়ে বললেন,' না, খেলা হবে না, মুর্শিদাবাদের মাটিতে তৃণমূলের কোন খেলা হবে না। তৃণমূলের ওই খেলা বন্ধ হবে এখানে ।' কার্যত এই শ্লোগান টি কে বাতিল করার হুংকার দিলেন জন সভা থেকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা সাংসদ অধীর চৌধুরী । তিনি তৃণমূল সুপ্রিয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে তীব্র কটাক্ষ ছুড়ে দিয়ে বলেন,'মানুষ কে ভীত সন্ত্রস্ত করতেই ওই খেলা হবে হুঙ্কার তুলেছে রাজ্যের শাসক দল। এটাই তৃণমূলের কালচার ।'
সভা মঞ্চ থেকে ওই স্লোগানকে ধিক্কার জানিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের যেমন সমালোচনা করেছেন অধীর চৌধুরী তেমনি ডিজেল পেট্রলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ করে বিঁধেছেন কেন্দ্রের বিজেপি সরকার কে । স্বাধীনতার পর থেকেই লালগোলা বিধানসভা টানা কংগ্রেসের দখলে তুমুল তৃণমূল ঝড়েও গত বিধানসভা নির্বাচনে এই আসন থেকে কংগ্রেস কে টলাতে পারেনি।সুতরাং সীমন্তের এই আসন নিয়ে কংগ্রেসের ঝুঁকি না থাকলেও নির্বাচনকে খাটো করে দেখতে নারাজ অধীর চৌধুরী ।
ফলে এক মাসের ব্যাবধানে পদযাত্রা মহামিছিল ও জন সভা করে গেলেন কংগ্রেসের ওই নেতা। বরং বলা চলে বাম কংগ্রেস জোটের আসন ভাগাভাগির আগেই জোটের প্রার্থী হিসেবে ছ বারের বিধায়ক আবু হেনার জন্য নির্বাচনী প্রচার শুরু করে দিয়ে গেলেন তিনি ।মুসলিম অধ্যসিত মুর্শিদাবাদ লোকসভা তে গত নির্বাচনে কংগ্রেসের পরাজয়ের কারন ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তৃণমূলের চক্রান্তের রেস টেনে অধীর চৌধুরী বলেন , ' ওরা মানুষ কে বুঝিয়ে ছিল লোক সভায় অধীর চৌধুরীর হাত শক্ত করা মানে বিজেপির লাভ ,কারন নির্বাচনের পর অধীর বিজেপিতে যোগ দেবে । মানুষ এখন সেই ভুল বুঝতে পেরেছে ।তাই জেলা তৃণমূলের আর ঠায় হবে না ।'
এদিকে কেন্দ্রের বিজেপি কে তুলোধুনা করতে গিয়ে ডিজেল পেট্রলের মুল্য বৃদ্ধি তো আছেন,নয়া কৃষি আইন বাতিলের দাবিতেও মানুষকে সংগঠিত হওয়ার ডাক দেন তিনি।প্রসঙ্গত তিনি বলেন,'কেন্দ্রের বিজেপি সরকার দেশ টাকে ধর্মের নামে ভাগ করতে চাইছে । আমাদের সজাগ থাকতে হবে সাম্প্রদায়িক বিজেপির হাতে কোন মতেই বাংলার সংস্কৃতি কে বিপন্ন হতে দেওয়া যাবে না।'