ফের গলসিতে বিস্ফোরণ, উড়ে গেল নির্মিয়মান বাড়ি - আতঙ্ক বাড়ছে পূর্ব বর্ধমানে

রাজনীতির তাপ বাড়ছে পূর্ব বর্ধমানে

তৃতীয় দফা ভোটেক দিনও গলসিতে বিস্ফোরণ

গত তিনদিনে এই নিয়ে দ্বিতীয় বিস্ফোরণ

পূর্ব বর্ধমানেই এইবারের ভোটের প্রথম বলি হয়েছিল এক বালক

amartya lahiri | Published : Apr 6, 2021 1:03 PM IST

ভোট যত এগোচ্ছে ততই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে পূর্ব বর্ধমান। মঙ্গলবার রাজ্যের এক প্রান্তে যখন চলছে ভোটগ্রহণ, তখন ফের বিস্ফোরণ ঘটল পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে। এই নিয়ে তিনদিনে গলসিতে পরপর দুটি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল। নির্বাচনের আগে তীব্র রাজনৈতিক হিংসার আশঙ্কায় কাঁপছে এলাকার মানুষ।

জানা গিয়েছে, এদিন সকাল ১১ টা নাগাদ গলসি১ নম্বর ব্লকের, রাইপুর শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের ঠিক পাশে এক নির্মীয়মান বাড়িতে এই বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের অভিঘাতে ওই বাড়িটি পুরো ধসে গিয়েছে। পুলিশের অনুমান ওই বাড়িটিতে সম্ভবত বোমা মজুত করা ছিল। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে সম্ভবত কোনও প্লাস্টিকের জারের মধ্যে একাধিক বোমা রাখা ছিল। পুলিশ আরও জানিয়েছে, ওই বাড়ির মালিকের নাম শেখ রফিকুল, তার খোঁজ চলছে।

রবিবার রাতে, একইরকমভাবে বিস্ফোরণ ঘটেছিল এই রাইপুর গ্রামের পার্শ্ববর্তী আটপাড়া গ্রামে। ওইদিন রাত নটা নাগাদ বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠেছিল আটপাড়া গ্রামে ও  সংলগ্ন এলাকা। কোনও হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছিল এলাকায়। ওই ক্ষেত্রেও মজুত বোমা থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছিল বলে জানিয়েছিল পুলিশ। যে বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে সেই বাড়ির মালিক শেখ সফিকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

পূর্ব বর্ধমান জেলা থেকেই এই বারের নির্বাচনে প্রাণহানির সূচনা হয়েছিল। ২২ মার্চ বর্ধমান শহরের রসিকপুর এলাকায় বল ভেবে বোমা নিয়ে খেলতে গিয়েছিল কয়েকটি বালক। বিস্ফোরণে একজনের মৃত্যু হয়। তারপর গত তিনদিনের মধ্যে পরপর দুটি বিস্ফোরণের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তবে এই নিয়ে চলছে রাজনৈতিক চাপানউতোরও।

বিজেপির অভিযোগ, নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে ব্যহত করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। ভোট যাতে সুষ্ঠুভাবে না হয়, যাতে সন্ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি হয় - তার জন্যই জায়গায় জায়গায় বোমা মজুত করে রেখেছে তারা। পাল্টা তৃণমূল এর পিছনে বিজেপির নব ও আদি গোষ্ঠীর কোন্দলের দিকে আঙুল তুলেছে।বস্তুত এই কারণে বিজেপিকে এই এলাকার প্রার্থীও বদলেতে হয়েছে। বিস্ফোরণের ঘটনাগুলির তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে তাতে সাধারণ মানুষ বিশেষ আশ্বস্ত হতে পারছেন না।

Share this article
click me!