মন্ত্রীত্ব ছেড়ে রাজীব বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের কান্না আসলে নাটক ছাড়া কিছু নয়, এমনটাই মন্তব্য করলেন মন্ত্রী অরুপ রায়। শুক্রবার প্রথমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের কাছে ইস্তফা পত্র জমা দেওয়ার পর রাজভবনে ইস্তফাপত্র জমা দেন রাজীব। এরপর রাজভবনের বাইরে এসেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ে দলের অন্দরে এত দিন ঘটে যাওয়া অপ্রিয় কিছু মুহূর্ত সম্বন্ধে বলেন তিনি।
রাজীব বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেওয়া প্রসঙ্গে এদিন সমবায় মন্ত্রী অরুপ রায় বলেন, মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেওয়ায় কোনও মানে হয় না। এটা অর্থহীন। আর কয়েকদিন পর কেউ মন্ত্রী থাকবেন না। নির্বাচন ঘোষণা হয়ে যাবে। সুতরাং, এই সময়ে মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেওয়াটা এটা সংবাদের শিরোনামে থাকার একটা অপচেষ্টা মাত্র। এরপর তিনি বলেন , ওটা নাটক ছাড়া কিছু নয়। রাজীব বন্দ্য়োপাধ্য়ায় মন্ত্রিত্ব ছাড়াতে হাওড়ায় দলের কোনও ক্ষতি হবে না। তৃণমূল কংগ্রেস হাওড়ায় একটি মহাসমুদ্র। লক্ষ লক্ষ কর্মী এককাট্টা রয়েছেন। সমুদ্র থেকে এক বালতি জল তুলে নিলে যেমন সমুদ্রের জল কম হয়ে যায় না, তেমনই তৃণমূল কংগ্রেস থেকে এক আধটা কেউ চলে গেলে দলের কিছু হয় না।
আরও পড়ুন, রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতই কি কাল হল, রাজীবকে মন্ত্রিসভা থেকে অপসরণ করলেন মমতা
প্রসঙ্গত, ইস্তফার পরেই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে রাজীব অভিযোগ করে বলেছেন, আড়াই বছর আগে আচমকাই তাঁকে সেচমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু ,সেকথা তাঁকে জানানোর সৌজন্যটুকু দেখাননি মমতা। ব্রেকিং নিউজে দেখতে হয়েছিল যে আমাকে সেচ দফতর থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তৃণমূল ভবনে গিয়ে সেকথা আমি জানতে পেরেছিলাম। এবিষয়ে রাজীব বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ক্ষোভের সহিত জানিয়েছেন, 'আড়াই বছর আগেই ভেবেছিলাম পদত্যাগ করব। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় আটকেছিলেন।' তাই এবার মনকষ্ট নিয়ে দল ছাড়ালেন তিনি। গত এক মাস ধরে অনেক কিছু কথা শুনেছি, কথা গুলি আহত করেছে আমায়। তাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি', বলে জানিয়েছেন রাজীব বন্দ্য়োপাধ্যায়। এরপরেই রাজভবনের বাইরে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন রাজীব বন্দ্য়োপাধ্য়ায়।