নেতাজীর জন্মদিবসে স্মারক বক্তৃত্বায় ঘুরিয়ে রাজনীতির মোক্ষম চাল চাললেন প্রধানমন্ত্রী। নেতাজীর অনুপ্রেরণায় যুব সমাজকে উদ্বুদ্ধ করে যুব সমাজকে আত্মনির্ভরতার বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী। উঠে এল কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলা থেকে রাফায়েল যুদ্ধ বিমান। পাশাপাশি, কাশ্মীর সীমান্তে ভারতীয় সেনার বীরত্বের কাহিনী। নেতাজীর ভাবধারায় থেকে দেশ কীভাবে প্রগতি করছে? তা যদি নেতাজী খোদ দেখতে পেতেনে তাহলে কেমন হত? আর তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল সেই মঞ্চে উপস্থিত থাককেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
আরও পড়ুন-'এটা কী ধরনের রাজনীতি', 'জয় শ্রীরাম স্লোগানে অপমানিত মমতা' ইস্যুতে তোপ অমিত-কৈলাসের
শিয়রে বাংলায় একুশের বিধানসভা নির্বাচন। নবান্ন দখলের লড়াইয়ে মরিয়া বিজেপি। এই অবস্থায় নেতাজীর জন্মদিনকে পরাক্রম দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রধানমন্ত্রী কলকাতা সফরে এসে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল থেকেনেতাজীল স্মারক বক্তৃত্বায় আত্মনির্ভর ভারতের প্রসঙ্গ তুললেন। তিনি বলেন, ''নেতাজীর কর্মকাণ্ড, ত্যাগ দেশের যুবকের কাছে এক বড় প্রেরণা এনে দেয়। দেশ যখন আত্মনির্ভর ভারতের সংকল্প নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন নেতাজী আনাদের কাছে অনেক বড় প্রেরনা হয়ে দাঁড়ায়। নেতাজী দেশকে স্বাবলম্বী হতে বলেছিলেন। আজ আমি খুশি যে নেতাজীর এই অনুপ্রেরণায় দেশ আজ প্রযুক্তি, কৃষি, গরিবি থেকে রেহাই পেতে চলেছে। তাঁর জন্য আমরা কঠোর পরিশ্রম করছি। দেশের সীমান্তে আজ আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে লড়াই করছেন সৈনিকরা। অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান রাফায়েল আজ ভারতে এসেছে। কোভিড পরিস্থিতিতে কীভাবে দেশ লড়াই করেছে আজ যদি নেতাজী দেখতেন কত খুশি হতেন''।
গুরুতর অসুস্থ লালু প্রসাদ যাদব, ফুসফুসে সংক্রমণের কারণে পাঠানো হল দিল্লিতে
তাৎপর্যপূর্ণভাবে সেই সময় মোদীর সামনে বসে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। পাশাপাশি, ঘুরপথে কৃষি আইনের পক্ষে সওয়াল করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, ''জমির ফসল ফলতেই সরাসরি বাজারে চলে যাচ্ছে। এর থেকে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। চাষের জন্য প্রয়োজনীয় খরচ আগের তুলনায় কম করার চেষ্টা চলছে। প্রত্যেক যুবক যাতে আধুনিক শিক্ষায় জ্ঞান অর্জন করেন, তার জন্য দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার পরিকাঠামোকে আরও আধুনিক করা হচ্ছে। আত্মনির্ভর ভারতের নেতৃত্বে সোনার বাংলা গড়ে উঠবে''। প্রসঙ্গত, বাংলায় বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্য জুড়ে সোনার বাংলা অভিযান শুরু করেছে বিজেপি। রাজনৈতিকমহলের মত, নেতাজীর জন্মদিনে সরকারি অনুষ্ঠানে এসে ঘুরপথে বিজেপির প্রচার করলেন প্রধানমন্ত্রিী নরেন্দ্র মোদী।