মোদীর ব্রিগেড বয়কট,নরহরি মাহাতোর প্রার্থী পদ প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব

মোদীর ব্রিগেড বয়কট
এলাকায় আন্দোলন বিজেপির 
নরহরি মাহাতোর নাম সরাতে হবে 
পাল্টা নির্দল প্রার্থী দেওয়ার হুঁশিয়ারি বিজেপির 
 

Asianet News Bangla | Published : Mar 7, 2021 9:24 AM IST

নরহরি মাহাতোকে প্রার্থী হিসেবে মানতে নারাজ স্থানীয় বিজেপি সদস্যরা। আর সেই কারণেই দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে বার্তা দিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মেগা ইভেন্ট ব্রিগেডের জনসভা বয়কট করল পুরুলিয়ার বিজেপির একাংশ। জেলা নেতৃত্বের দাবি অবিলম্বে প্রার্থী পদ থেকে সরিয়ে দিতে হবে ফরোয়ার্ড ব্লক থেকে দল বদল করে বিজেপিতে যোগ দেওয়া নরহরি মাহাতোকে। শীর্ষ নেতৃত্ব যদি এই পদক্ষেপ না নেয় তাহলে তাঁরা পুরুলিয়ার জয়পুর বিধানসভা কেন্দ্রে নির্দল প্রার্থী দাঁড় করাবে বলেও হুঁশিয়ারি  দিয়েছে। 

রাজ্যের অধিকাংশ বিজেপি নেতা কর্মী ও অনুগামীরা যখন ব্রিগেডগামী তখন, পুরুলিয়ার জয়পুরের বিজেপির একাংশ মেগা ইভেন্ট বয়কট করে জেলাতেই বিক্ষোভ অবস্থান করেন। কোটশিলা ব্লকের বাটারি মাটে একটি সমাবেশও করা হয়  দলের পক্ষ থেকে। দলের ব্লক স্তরের নেতৃত্বের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন জেলার নেতারাও। তাঁরাও বলেন নরহরি মাহাতো প্রার্থী হিসেবে তাঁরা মেনে নেবেন না। সংগঠনের সঙ্গে নরহরি মাহাতোর কোনও যোগাযোগ নেই বলেও অভিযোগ করা হয়। তাঁদের দাবি দলের সঙ্গে যুক্ত যে কোনও কাউকে প্রার্থী করা হলে তাঁদের কোনও সমস্যা হত না। তাঁহলে তাঁরা ভোট যুদ্ধে সেই প্রার্থীর হয় কাজ করতেন। কিন্তু নরহরি মাহাতো কোনও ভাবেই তাঁরা মেনে নেবেন না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। 

দীর্ঘ দিনের ফরোয়ার্ড ব্লকের নেতা ছিলেন নরহরি মাহাতো। বামফ্রন্টের টিকিটে লোকসভার সদস্যও হয়েছিলেন তিনি। ২০০৬ সালে ফরোয়ার্ড ব্লকের টিকিটে প্রথম সাংসদ হয়েছিলেন তিনি। পরবর্তীকালে ২০০৯ সালেও লোকসভার সদস্য ছিলেন তিনি। কিন্তু ২০১৪ সালে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্খী মৃগাঙ্ক মাহাতোর কাছে পরাজিত হন। তার চার বছর পরে  ২০১৮ সালে দল বদল করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। যদিও দলের জেলা সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার মাত্র তিন দিনের মাথায় তিনি দল বদব করেছিলেন। সেই সময় তিনি জনিয়েছিলেন ভোটে জিতে সাংসদ বা বিধায়ক হওয়ার জন্য তিনি দল বদল করেননি। তাঁর দাবি ছিল রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপি। আর সেই কারণেই তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে লড়াই করতেই তাঁর দলবদল। যদিও স্থানীয় বিজেপি নেতাদের অভিযোগ এলাকায় সংগঠনের সঙ্গে তেমন কোনও যোগাযোগ নেই নরহরি মাহাতোর। সেই কারণেই তাঁরা তাঁর বিপক্ষে দাঁড়িয়েছেন।  
 

Share this article
click me!