শুক্রবার একই দিনে বাংলায় ভিন্ন দলের পৃথক সভা। একদিকে ধর্মতলায় কংগ্রেসের সভায় ছিল অধীর চৌধুরী। অপরদিকে তৃণমূলের সভার পাশাপাশি নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর সভা। ইতিমধ্য়েই উপস্থিত হয়েছেন মুকুল রায়, দিলীপ ঘোষ, কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামের সভা থেকে ফের অভিষেক এবং মমতাকে নাম করে আক্রমণ করলেন কৈলাস। যদিও বিজেপির এই সভার দিনে চলচ্চিত্র উৎসবে এখন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়।
কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গকে কোলার বাংলা নয়-সোনার বাংলা বানাব। প্রসঙ্গত কয়লা পাচার-গরু পাচার নিয়ে ফের নন্দীগ্রামের সভা থেকে তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দেন। প্রতিশ্রুতি দেন, বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় এলে এই যাবতীয় পাচার বন্ধ হবে। অপরাধীরা শাস্তি পাবে। তবে তিনি ফের সভার সামনে বসে থাকা বিজেপির অসংখ্য নেতা-কর্মী-অনুগামীদের উদ্দেশ্য বলেন বাংলার কয়লা পাচারকারী কে, তোলাবাজ কে বলে নাম না করে ডায়মন্ডহারবারের বিধায়ক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন।
এরপরে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এসে কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, উপস্থিত শহিদদের পরিবারের সামনেই বলেন, 'মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বাংলায় ক্ষমতায় এসে হত্যাকারীদের শাস্তি দেবেন , জেলে ঢোকাবেন। কিন্তু তৃণমূলের সরকার গঠিত হওয়ার পর সেই প্রতিশ্রুতি টিকে থাকেনি। উল্টে দেখা গিয়েছে হত্যাকারীদেরকে দিদি সরকারি অফিসে স্থান দিয়েছে। এখানেই শেষ নয় চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর তাঁদেরকে পুরষ্কৃতও করা হয়েছে।' এই অবধি বলে সভার সামনে বসে থাকা বিজেপির অসংখ্য নেতা-কর্মী-অনুগামীদের উদ্দেশ্য কৈলাস বিজয়বর্গীয় ফের বলেন 'এমন সরকার চান কি'। ওপাশ থেকে জোরে উত্তর আসে, 'না'।