'শুয়ে পড়ে কান্না-কাটি করছে-খারাপ লাগছে-আগামী দিনে তাঁদেরকেও তো আসতে হবে', হেস্টিংস কাণ্ডের পর তৃণমূলকর্মীদের তীব্র খোঁচা দিয়ে আক্রমণ করলেন বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। হেস্টিংসের এই ঘটনার পর মেজাজ ধরে রাখতে পারেননি অর্জুন সিংহও।
প্রসঙ্গত, শনিবার শুভেন্দুর বৈঠক ঘিরে ব্যাপক বচসা বাধে খিদিরপুরের হেস্টিংসে। খিদিরপুর হেস্টিংস হাউজে বিজেপি পার্টি অফিসের সামনে তৃণমূল-বিজেপি মধ্য়ে ঝামেলা লেগে যায়। খিদিরপুর হেস্টিংস হাউজে বিজেপির দফতরে ৪৩ জনের সঙ্গে বৈঠক ছিল শুভেন্দুর। কিন্তু এই বৈঠক ঘিরেই শুরু হয় ব্যাপক বচসা। বিজেপি অফিসের বাইরে সদ্য বিজেপি-তে যোগ দেওয়া সাংসদ সুনীল মণ্ডলের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে তৃণমূল কর্মীরা। এমনকি শেষ পর্যন্ত সুনীল মণ্ডলের গাড়ির সামনে শুয়ে পড়ে তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকরা।
উল্লেখ্য, তৃণমূলের ৭৫ নম্বর ওয়ার্ডের একটি মিটিং ছিল। পাশাপাশি হেস্টিংস হাউসে শনিবার বিজেপির তরফ থেকে মিটিং ছিল। শুভেন্দু অধিকারী সহ অর্জুন অর্জুন সিং ও সুনীল মন্ডল সহ বিজেপি নেতারা এসেছিল। বেশকিছু যোগদান ছিল তৃণমূল থেকে বিজেপিতে। আর এটাই মেনে নিতে না পেরে ঝামেলা বাধায় তৃণমূল, বলে মত রাজনৈতিক মহলে। এদিকে ওই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা সামাল দিতে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশবাহিনী।
হেস্টিংসের এই ঘটনার পরেই ধীক্কার জানান বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। সুনীল মণ্ডলের কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একজন দল নেতা দল ছেড়়ে বেরিয়ে এসেছে। তাঁর জন্য গাড়ির সামনে শুয়ে পড়ে কান্না-কাটি করছে তৃণমূল। খারাপ লাগছে-আগামী দিনে তাঁদেরকেও তো আসতে হবে'। তিনি আরও বলেন, আজ পুলিশ প্রশাসন আছে বলে তাঁরা এখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সভা করছে।' অপরদিকে, হেস্টিংসের এই ঘটনার পর অর্জুন সিংহ বলেন, এটা একটা নক্কারজনক ঘটনা। পুলিশ দলসাস হয়ে বসে আসে। এরপর মুখ্যমন্ত্রী কালীঘাটের বাড়িতে ঢুকতে পারবেন তো'-বলে হুঁশিয়ারী দিয়েছেন অর্জুন।