এযেন অনেকটা দুধের সাধ ঘোলে মেটার মতই অবস্থা। কারণ রায়গঞ্জে বিজেপির প্রার্থীর সমর্থনে রোড শোয়ে উপস্থিত থাকলেও তা শেষ করলেন না দলেরই স্টার ক্যাম্পেনার মিঠুন চক্রবর্তী। মাত্র ৩০০ মিটার রাস্তাই অতিক্রম করলেন। তারপই আচমকা গাড়ি থামিয়ে নেমে গেলেন। তারপরই শত শত অনুগামীদের হতাশ করে সোজা উঠে গেলেন হেলিকপ্টারে। মিঠুনের এহেন আচরণে কার্যত অস্বস্তিতে পড়েছে রায়গঞ্জের বিজেপি নেতারা। কারণ দুপুর রোদ উপেক্ষা করেই প্রিয় অভিনেতাকে দেখার জন্য ভিড় জমিয়েছিলেন প্রচুর মানুষ। সূত্রের খবর ভোট প্রচার চলাকালীন তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে হেলিকপ্টারে করে ত়ড়িঘড়ি নিয়ে আসা হয় কলকাতায়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন প্রবল গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। ডিহাইড্রেশন হয়ে গিয়েছেন তাঁর। বর্তমানে তিনি স্থিতিশীল বলেও সূত্রের খবর।
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে রায়গঞ্জ আসনের বিজেপি প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যানীর সমর্থনে মিঠুন চক্রবর্তীর রায়গঞ্জ শহরে রোড শো করার কথা ছিলো দুপুর ৩ টে নাগাদ। এদিন বেলা ১ টা থেকেই রায়গঞ্জ শহরের রাস্তার দুইপাশে হাজার হাজার মানুষ ভীড় করতে শুরু করে। বিকেল ৩ টের মধ্যে শহরের রাস্তা কার্যত চলাচল অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।বিকেল সাড়ে ৪ টে নাগাদ মিঠুন চক্রবর্তী মালদা থেকে হেলকপ্টারে রায়গঞ্জ শহরে এসে পৌছান।সুদর্শনপুর এলাকা থেকে সুসজ্জিত গাড়িতে প্রার্থীকে তার রোড শো শুরু হয়।শুরুতেই ছন্দপতন। মাত্র ৩০০ মিটার মিছিল যাওয়ার পরেই মিঠুন চক্রবর্তী মিছিল থামিয়ে নেমে গাড়িতে উঠে হেলপ্যাডের দিকে রওনা দেন।রাস্তায় দাড়িয়ে থাকা হাজার হাজার মানুষ তারপরও প্রায় আধঘন্টা অপেক্ষা করে বাড়ি ফিরতে শুরু করেন।
তারকা প্রচারক এনে ভোটের পালে হাওয়া দেওয়ার চেষ্টা করেছিল বিজেপির। কিন্তু তার পরিবর্তে মিঠুন চক্রবর্তীর আচরণে দুপুর রোদে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষারত শহরবাসীর ক্ষোভ সামাল দেওয়াই বিজেপি নেতৃত্বের কাছে মুহুর্তের মধ্যে বড়ো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে। গোটা ঘটনাকে নিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক শিবির মানুষকে ভাওতা দেবার ব্যাপারে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচার শুরু করে দিয়েছে। শহরবাসীর বক্তব্য, মিঠুন চক্রবর্তীকে একবার দেখার জন্য আমরা কয়েক ঘন্টা অপেক্ষা করে ছিলাম।তিনি এসেও চলে গেলেন।ক্ষমতায় না আসতেই আমাদের সাথে এইরকম ধোকাবাজি।এই ঘটনাকে বিজেপির ধোকাবাজির নিদর্শন হিসেবে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি প্রচার শুরু করেছে। বিজেপির পক্ষ থেকে এখনও এই ঘটনার কারন হিসেবে কিছু জানানো হয় নি।