ভোট-পরবর্তী হিংসায় আহত নন্দীগ্রামে বিজেপি কর্মীর মৃত্যু।মহম্মদপুরের চিল্লা গ্রামের বাসিন্দা দেবব্রত মাইতি এলাকায় বিজেপি কর্মী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। স্থানীয় সূত্রে খবর ও বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, ভোট গণনার পর দিন ৩ মে সকালে দেবব্রতর বাড়িতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা চড়াও হয়ে বাড়ি ভাঙচুর করে। দেবব্রত বাধা দিলে তাকে মারধর করা হয়।
আরও পড়ুন, 'কোথায় অমিত শাহ', স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নামে ভবানীপুর থানায় মিসিং ডাইরি করল TMCP
গুরুতর জখম অবস্থায় প্রথমে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে এবং পরে কলকাতা এসএসকেএম-এ স্থানান্তরিত করা হয়। বৃহস্পতিবার কলকাতায় হাসপাতালে মারা যায় দেবব্রত। রাতে তার মরদেহ নিয়ে আসা হয় নন্দীগ্রামে। নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। এবং তার পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি প্রলয় পালের বক্তব্য , মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তিনি অনুরোধ জানান যাতে এই সন্ত্রাস বন্ধ হয়। আর কারও যাতে এই সন্ত্রাসে মৃত্যু না হয়।
আরও পড়ুন, করোনা আক্রান্ত সস্ত্রীক মুকুল রায়, কোভিডে মাকে হারালেন শতরূপ ঘোষ
ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রীতিমত গরম রাজ্য রাজনীতি। শপথ গ্রহণের দিনেও রাজ্যপাল রাজ্যের রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে সরব হয়েছিলেন। ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্যের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আসা কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গেও তিনি দীর্ঘ বৈঠক করেন। কিন্তু স্বারাষ্ট্র মন্ত্রকের পাঠান কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল নিয়ে রীতিমত উষ্মা প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের হিংসা নিয়ে বর্তমানে লসরব হয়েছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাও রাজ্যের বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ তুলে দলীয় কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে এসেছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। প্রাণ হারালেন বিজেপি কর্মী দেবব্রত মাইতি।