বিজেপির মিছিলে যাবার অপরাধে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল জুড়ে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ওপর সিরিয়াল হামলার অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এদিন বিজেপির এক কর্মী কে বাজারে ফেলে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন, আজ নন্দীগ্রামে হেভিওয়েট ২, মুখোমুখি মমতা-শুভেন্দু, রোড শোয়ের সূচি প্রকাশ শিশিরপুত্রের
প্রথম ঘটনাটি ঘটে উত্তর দমদম বিধানসভার নিউ ব্যারাকপুর থানার লেলিন গড়ে। সেখানে এক বিজেপি কর্মীর বাজারে যাওয়ার সময় তাকে অতর্কিত হামলা চালায় বেশ কিছু দুষ্কৃতী। তারা প্রত্যেকেই এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত। ঘটনায় গুরুতর জখম হন এক বিজেপি কর্মী। তাকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন বেশ কয়েকজন স্থানীয় মানুষ। একই ভাবে খড়দহ বিধানসভা এলাকায় ঘোলা থানার যোগেন্দ্র নগরের কাঠালতলা এলাকার বিজেপির মিটিং মিছিলে যাবার অপরাধে বাড়ি বাড়ি ঢুকে হামলা ও বিজেপি কর্মী সমর্থকদের বেধড়ক মারধরের অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। দুটি ঘটনাই ঘটেছে রবিবার রাতে। একটি নিউ ব্যারাকপুর থানার লেলিন গড়ে। অপরটি ঘটেছে ঘোলা থানা এলাকার খড়দহ বিধানসভা কেন্দ্রের রাজেন্দ্র নগর এর কাঠালতলা এলাকায়।
আরও পড়ুন, 'আমাকে চাইলে সোহম-অদিতি ভূলে যান', শেষবেলায় প্রার্থীদের উপর ভরসা হারালেন কি 'দিদি'
বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করতেই পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালায় এবং বাড়িঘর ভাঙচুর করে। চেঁচামেচি শুনে স্থানীয় মানুষ আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের বাঁচাতে গেলে গুরুতর জখম হন ৭ জন বিজেপি কর্মী। তাদের একজনের আঘাত গুরুতর। দুটি ঘটনার ক্ষেত্রেই নিউ ব্যারাকপুর থানায় এবং ঘোলা থানায় বিজেপির পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়। তাতে হামলায় সরাসরি নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য স্থানীয় তৃণমূল নেতা কালু দাস, সতু দাস, শানু দাস, মলয় বিশ্বাস ও সুমন দে এই ৫ জনের বিরুদ্ধে ঘোলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আহত সাতজন বিজেপি কর্মীর মধ্যে শ্রীমতি শ্যামলি বিশ্বাস সুরজিৎ সরকার ও তনময় গড়াইয়ের আঘাত গুরুতর। তাদের চোখে ও মাথায় গুরুতর চোট রয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে এই হামলার ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে নিউ ব্যারাকপুর থানার পুলিশ। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ পিকেটিং বসানো হয়েছে।