ভোটের পরও থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী - এখনও অশান্ত নন্দীগ্রাম-কেশপুর, ৪ জেলায় উদ্ধার বোমা-গুলি

Published : Apr 02, 2021, 07:07 PM ISTUpdated : Apr 02, 2021, 07:17 PM IST
ভোটের পরও থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী - এখনও অশান্ত নন্দীগ্রাম-কেশপুর, ৪ জেলায় উদ্ধার বোমা-গুলি

সংক্ষিপ্ত

ভোটের পরেও থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোট-পরবর্তী হিংসা রুখতেই এই সিদ্ধান্ত কমিশনের এদিনও সংঘর্ষ নন্দীগ্রামে, উত্তেজনা কেশপুরেও বিভিন্ন জেলা থেকে উদ্ধার হল বোমা-গুলি-পিস্তল  

বৃহস্পতিবার, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণের দিন সকালে কেঁদে ফেলেছিলেন নন্দীগ্রামের বয়াল গ্রামের এক তৃণমূল এজেন্টের মা। ছেলেকে বুথে পাঠালে ভোট পরবর্তী সময়ে কী হবে, সেই আশঙ্কায় প্রকাশ করেছিলেন তিনি। তাই ভোটের দিন রাজ্য পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর   আশ্বাসেও ছেলেকে যেতে দিতে রাজি হননি তিনি। এই ভোট পরবর্তী হিংসা রুখতেই, শুক্রবার, পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি বেশ কয়েকটি নির্বাচনী এলাকা এবং সংবেদনশীল এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর কয়েকটি সংস্থাকে ভোট গ্রহণের পরও রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এদিন জানানো হয়, রাজ্যে বিপুল সংখ্যক সুরক্ষা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। যে যে জায়গায় ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে, সেই জায়গাগুলিতে ভোটের অনেক আগে থেকেই সুরক্ষা বাহিনী পাঠানো হচ্ছে। এছাড়াও, নির্বাচন পরবর্তী সময়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য কিছু কিছু স্পর্শকাতর নির্বাচনী এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী রেখে দেওয়া হবে।

প্রথম দফার ভোটের পরও রাজনৈতিক হিংসা দেখা গিয়েছিল। দ্বিতীয় দফা ভোটের পরও পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর থেকে সংঘর্ষ-উত্তেজনার খবর পাওয়া গিয়েছে। এদিন আবার অধিকারী পরিবারের শেষ তৃণমূল সদস্য সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী, মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তাকে চিঠি লিখে নন্দীগ্রামে 'সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে'র আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। কর্তৃপক্ষকে এই বিষয়ে আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীর ভাই।

শুক্রবার সকালে, নন্দীগ্রামের ভেতুরিয়াতে তৃণমূল এবং বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধেছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব়্যাফ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক বিশাল দলকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। এই সংঘর্ষের জন্য তৃণমূল এবং বিজেপি, একে অপরের দিকে আঙুল তুলেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদদের আশঙ্কা, কেন্দ্রীয় বাহিনী ওই স্থান থেকে চলে গেলেই ফের দুই পক্ষে সংঘর্ষ শুরু হবে। আর কেশপুরের বিভিন্ন জায়গায় হামলা হয় বিজেপি এজেন্টদের। গত বুধবার এখানেই এক তৃণমূল কর্মীকে নৃশংসভাবে হত্যার অভিযোগ উঠেছিল বিজেপির বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন - নিশানায় কমিশন থেকে অমিত শাহ - মুক্তি পেয়েই হুঙ্কার ছাড়লেন মমতা, অট্টহাসি শুভেন্দুর

আরও পড়ুন - নন্দীগ্রামে মমতা কি হারের ভয় পাচ্ছেন - ভরসার তালিকায় কেন এখন রাজ্যপাল, আদালত আর সুদীপ জৈন

আরও পড়ুন - বয়াল গ্রামে বোতল-বন্দি মমতা, ফুটবলের স্ট্র্যাটেজিতেই কি মাত করলেন শুভেন্দু

অন্যদিকে, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ডায়মন্ড হারবারে ভোট তৃতীয় দফায়, আগামী ৩ এপ্রিল। এদিন, হামলা হয় সেখানকার বিজেপি প্রার্থীর উপর। সেইসঙ্গে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০ জন বিজেপি কর্মী। প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করেছিল বিজেপি। সেখান থেকে বিজেপি কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে গেলে সংঘর্ষে কয়েকজন পুলিশ কর্মীও আহত হন। ওই ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেইসঙ্গে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ভাঙ্গর, বিষ্ণুপুর এবং মুর্শিদাবাদে সুতি-সহ রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে তাজা বোমাও উদ্ধার করেছে পুলিশ। হুগলির ডানকুনিতে সাতটি পিস্তল এবং প্রায় তিনশ রাউন্ড গুলি-সহ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

 

PREV
click me!

Recommended Stories

WB Weather Update: বঙ্গে শীতের ইনিংস শুরু, সপ্তাহ শেষে পারদ পতনের ইঙ্গিত? এবার কী শীতে কাঁপবে বঙ্গবাসী
১ বছর পরে ২ দিনের সফরে কোচবিহার যাচ্ছেন মমতা, রইল সোম ও মঙ্গলের ঠাসা কর্মসূচি