সংক্ষিপ্ত

বয়ালের দুই ঘন্টা পর ছাড়া পেলেন মমতা

মুক্তি পেয়েই সুর চড়ালেন নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে

গুরুতর অভিযোগ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও

একেবারেই অন্য সুর শুভেন্দুর গলায়

দুই ঘন্টা পর ছাড়া পেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রামের বয়ালের এক ভোটকেন্দ্রে তৃণমূল এজেন্টদের বসতে দেওয়া হচ্ছে না, ভোটারদের ভয় দেখানো হচ্ছে, এই অভিযোগ পেয়ে সেখানে যেতেই গুরুতর পরিস্থিতি তৈরি হয়। যে রাস্তা দিয়ে গ্রামে ঢুকেছিলেন মমতা, সেই রাস্তা দিয়ে তাঁর ফেরার উপায় কার্যত  ছিল না। অবশেষে ঘন্টা দুয়েক পর কেন্দ্রীয় বাহিনীর সহায়তায় সেখান থেকে বের হতে পারলেন তিনি। আর মুক্তি পেয়েই নির্বাচন কমিশন থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উদ্দেশ্যে হুঙ্কার ছাড়লেন তিনি।

বয়ালের গ্রাম থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা অভিযোগ করেন, একেবারেই সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে না। তিনি বলেন, 'আমি এত খারাপ নির্বাচন দেখিনি ।' তবে বয়ালে বুথ ক্যাপচার বা ভোটারদের সন্ত্রস্ত করার বিষয়ে এখনই তৃণমূল কোনও এফআইআর করা বা অন্য পদক্ষেপ নেবে না বলে জানান তিনি। ভোটকেন্দ্রের সমস্ত ফুটেজ যাচাই করেই যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে, বলেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন - নন্দীগ্রামে মমতা কি হারের ভয় পাচ্ছেন - ভরসার তালিকায় কেন এখন রাজ্যপাল, আদালত আর সুদীপ জৈন

আরও পড়ুন - শুভেন্দু অধিকারীর গাড়িতে 'পাকিস্তানি'দের হামলা - ইটের ঘায়ে ভাঙল কাচ, অক্ষত বিজেপি নেতা

আরও পড়ুন - ঝরঝর করে কাঁদছেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল এজেন্টের মা, আতঙ্কে বুথেই যেতে দিলেন না ছেলেকে

তবে, নির্বাচন কমিশন বিজেপির হয়ে কাজ করছে বলে স্পষ্ট ভাষায় অভিযোগ করেন তিনি। জানান, 'সকাল থেকে নির্বাচন কমিশনে ৬৩টি অভিযোগ করা হয়েছে। একটিতেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।' তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের ভূমিকায় তিনি দুঃখিত।

এরপরই তিনি সুর চড়ান অমিত শাহ-এর বিরুদ্ধে। তাদের গুন্ডাদের নিয়ন্ত্রণ করতে বলেন। বয়ালের উত্তেজনা নিয়ে তাঁর বক্তব্য, যাঁরা জয় শ্রীরাম স্লোগান দিয়ে বুথ সংলগ্ন এলাকায় উত্তেজনার পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল, তারা কেউ নন্দীগ্রামের বাসিন্দা নয়, সকলেই বহিরাগত. অমিত শাহ-ই তাদের পাঠিয়েছেন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদেরও ছাড়েননি তিনি। তবে তাঁর মতে জওয়ানদের কোনও দোষ নেই। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীই ক্ষমতার অপব্যবহার করে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কাজে লাগাচ্ছেন তৃণমূলের ভোটারদের, কর্মীদের সন্ত্রস্ত করতে। ভোট দখল করতে।  

একদিকে, যখন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় অভিযোগের পর অভিযোগ করছেন, সেই সময় কিন্তু, ভোট একেবারে সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তাঁর প্রধান প্রতিপক্ষ, এক সময়ের সহযোগী তথা বর্তমানে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি জানিয়েছেন, ভোট যেভাবে হচ্ছে তাতে খুশি তিনি। বুথে বুথে পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে, তাই 'সুফিয়ান মডেল' ফেল করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। আর তাই এত অভিযোগ আসছে তৃণমূলের তরফে, বলে সাফ জানিয়েছেন তিনি। তারপর হা হা হা করে অট্টহাসি হাসছেন দলবদলু বিজেপি নেতা।