জাকির হোসেনকে দেখতে এসএসকেমে এলেন মমতা। উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের নিমতিতা স্টেশনেবোমার আঘাতে গুরুতর জখম রাজ্যের শ্রম দফতরের মন্ত্রী জাকির হোসেন সহ ১১ জন সঙ্গী। প্রত্যেকেই এসএসকেমে এই মুহূর্তে ভর্তি। বৃহস্পতিবার জাকির হোসেনকে দেখার পর বিরোধীদের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এই ঘচনায় দায়িত্বভার নিয়ে সিআইডি।
এদিন এসএসকেমে-হাসপাতালে জাকির হোসেনকে দেখার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় জানিয়েছেন, এটা বড় ষড়যন্ত্র। রেল এতবড় ঘটনার পর কী করে গা ঢাকা দিচ্ছে জানি না। জাকিরের অবস্থা খারপ, এখন অপারেশন থিয়েটারে রয়েছে। কয়েকজন রোগীর অবস্থা দেখা যাচ্ছে না। যাঁরা জখম হয়েছে তাঁদের ৫ লক্ষ টাকা দেবো। অপেক্ষাকৃত কম জখমদের জন্য লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। প্লাস্টিক সার্জারির দায়িত্বও নেবো। সত্য়ি ঘটনা খুঁজে বার করবে ৩ টি দল।'
প্রসঙ্গত, খোদ মন্ত্রীর উপরে এই প্রাণঘাতী হামলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের দিকেই আঙুল উঠেছে। যদিও, বিজেপি-কংগ্রেস এবং সিপিএম-এর দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বুধবার রাতে এই গোষ্ঠীদ্বন্ধ এবার চরমে পৌঁছল বলেই মনে করা হচ্ছে। বুধবার রাতে জঙ্গীপুর মহকুমার অন্তর্গত নিমতিতা স্টেশন থেকে কলকাতায় দলীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য প্লাটফর্মে দেহরক্ষী ও দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে প্রবেশ করেছিলেন রাজ্যের শ্রমদপ্তর এর প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। আর সেই সময় মাত্র কয়েক ফুট দূর থেকে তাঁকে লক্ষ্য করে প্রাণে মারার উদ্দেশ্যে জোরালো শক্তিশালী বোমা ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় অভিযোগের তীর মন্ত্রীর বিরোধী গোষ্ঠীর দিকেই বলে তার সমর্থকরা দাবি করেছেন।
বোমা নিক্ষেপে পর চারপাশ ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। হামলার আকস্মিতা কাটিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় প্রতিমন্ত্রীকে। তাঁর সঙ্গে থাকা নিরাপত্তারক্ষী থেকে শুরু করে আরও ৮ থেকে ১০ জন স্প্লিন্টারের আঘাতে জখম হন। বিকট আওয়াজ শুনে তড়িঘড়ি আশেপাশের অন্যান্য লোকজন থেকে শুরু করে রেলওয়ে পুলিশ ছুটে আসে সেখানে। ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় প্রতিমন্ত্রী ও তাঁর সমর্থকদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় জঙ্গিপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। সেখানেই প্রাথমিকভাবে সকলের চিকিৎসা শুরু হয়। জাকির হোসেনের বুক ও মাথার বেশ কিছু অংশ সেইসঙ্গে হাঁটু ও তার নীচে একাধিক জায়গায় গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয় বোমের আঘাতে। ১৪ টি সেলাই করা হয় প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের শরীর জুড়ে। উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই তাঁকে কলকাতার উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়। ঘটনাস্থল থেকে বোমার স্প্লিন্টার সহ একাধিক নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ঘটনার দায়িত্বভার নিয়েছে সিআইডি। উল্লেখ্য, এই ঘটনায় কংগ্রেসের সভাপতি অধির রঞ্জন চৌধুরি এনআইএ-র তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।