কেউ বলছেন প্রশান্ত কিশোর অর্থাৎ পিকের লাস্ট মুহূর্তের 'ইলেকশন সাজেশন', কেউ বা বলছেন 'খেলা হবে' মুর্শিদাবাদের মাটিতেই। আর তার তদারকি করতেই স্বয়ং আচমকা শুক্রবার অধীরের খাসতালুক বহরমপুরে এসে হাজির হয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন, ' বাংলায় ১০ গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে আগে উন্নয়ন', ভার্চুয়াল সভায় প্রতিশ্রুতি মোদীর
বিশেষ সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, ৩ দিন ধরে জেলায় থাকতে চলেছেন তিনি। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা। সূত্রের খবর এই তিনদিন ব্যাপী মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে একাধিক কর্মসূচি সম্পন্ন করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। করোনা পরিস্থিতিতে সশরীরে জনসভায় উপস্থিত না থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আগেই। হাতে মাত্র বাকি আর দুই দফা। সপ্তম ও অষ্টম। আর তাতেই লুকিয়ে আছে যাবতীয় জয়ের চাবিকাঠি। বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তাই এই শেষ দুই দফায় কোনরকম ঝুঁকি না নিয়ে সরোজমিনে হাজির থেকে পরিস্থিতির মোর বুঝে নিতে চাইছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। পাশাপাশি এই দুই দফায় মূলত কংগ্রেসের গড় তথা অধীরের ভূমিতে পাকাপাকিভাবে তৃণমূলের পায়ের তলার মাটি শক্ত করতেই নিজে নির্বাচনের কয়েক দিন আগে থেকে উপস্থিত থেকে যাবতীয় পরিস্থিতি অনুধাবন করাটাই এখন মূল লক্ষ্য। প্রাথমিকভাবে জানা যায়, কোনও জনসভা করবেন না তিনি। বরং দলের একেবারে মূল দায়িত্বে থাকা স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো এই কয়েকদিন ধরে। সেখানেই ঠিক করবেন শেষ মুহূর্তের রণকৌশল।
সেইমতো এদিন আকাশপথে বহরমপুরে এসে পৌঁছান তিনি। রাত্রি বাস করার পরে শনিবার যাবেন বীরভূমে। ফিরে এসে রবিবার বহরমপুরে দলের নেতা, কর্মী এবং প্রার্থী সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করবেন। সপ্তম ও অষ্টম দফা মিলিয়ে ২২টি আসনে ভোট রয়েছে মুর্শিদাবাদে। তাই শেষ দুই দফার ভোটে মুর্শিদাবাদকে গুরুত্ব দিয়েই দেখছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ভোটের দিন জেলাতেই থাকার সম্ভাবনা রয়েছে তার পুরো দমে। এ ব্যাপারে মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ তথা জেলা সভাপতি আবু তাহের খান বলেন," হাতে মাত্র বাকি আর দুই দফা।সেক্ষেত্রে সীমান্তের জেলা মুর্শিদাবাদ অতি গুরুত্বপূর্ণ তৃণমূলের কাছে।তৃণমূল সুপ্রিমো নিজে দলের কর্মী নেতাদের বিশেষ ভাবে উজ্জীবিত করতে চান। বাকিটা দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়"। আর এই পুরো বিষয় কে নিয়ে নতুন জল্পনা তৈরি হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর এহেন আগমন কে ঘিরে।