শীতলকুচিতে ঠান্ডা মাথায় হত্যা হয়েছে
এমনই দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের
জোড় পাটকির ঘটনা নিয়ে লিখিত অভিযোগ নির্বাচন কমিশনে
চিঠি কী বলল ঘাসফুল শিবির
'কোল্ড ব্লাডেড মার্ডার'। অর্থাৎ, ঠান্ডা মাথায় হত্যা। শীতলকুচির জোড় পাটকির ঘটনাকে নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া একটি চিঠিতে এই ভাষাতেই বর্ণনা করল তৃণমূল কংগ্রেস। চতুর্থ দফা ভোটে উত্তপ্ত উত্তরবঙ্গ। জোড় পাটকিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের, যাঁরা সকলেই তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য বলে দাবি করা হয়েছে।
এই বিষয়ে এদিন নির্বাচন কমিশনে গিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তৃণমূল কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধি দল। সেই দলে ছিলেন, বিদায়ী মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, দোলা সেন এবং সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায়, সৌগত রায় এবং ডেরেক ও'ব্রায়ান।
তৃণমূলের অভিযোগ, কোচববিহারের শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালিয়ে ৪ জনকে ঠান্ডা মাথায় হত্যা করেছে, এবং আরও ৩ জন গুরুতর আহত। এই ৭ জনের অপরাধ ছিল, তাঁরা গণতন্ত্রে উৎসবে সামিল হতে চেয়েছিলেন। যে উৎসবের আয়োজক নির্বাচন কমিশন। কোচবিহারের আগের পুলিশ সুপারকে সরিয়ে কমিশনের পক্ষ থেকে নতুন পুলিশ সুপার নিয়োগ করেছিল কমিশন। সেই কথাও উল্লেখ করতে ভোলেনি তৃণমূল কংগ্রেস। সেই নতুন পুলিশ সুপারই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে পরিচালনা করছেন।
তৃণমূল কংগ্রেসের আরও অভিযোগ নির্বাচনকে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করার নামে, কোনও কারণ ছাড়াই রাজ্যের ডিজিপি, এজিপিদের বদল করা হয়েছে। কিন্তু, প্রথম তিন দফায় দলের পক্ষ থেকে যথাক্রমে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে ৬টি, ১৮টি এবং ১৩৪টি অভিযোগ করা হলেও, একটি ক্ষেত্রেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সবকিছু দেখে শুনে ঘাসফুল শিবির মনে করছে বিজেপির তারকা প্রচারক কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নির্দেশ দিচ্ছেন, আর নির্বাচন কমিশন বিজেপির নির্দেশে, সেই বিষয়ে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
এই অবস্থায় শীতলকুচির ঘটনায় দোষী কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যদের কিংবা তাদের ঊর্ব্বতন কর্তা এবং কোচবিহারে কমিশন নিযুক্ত এসপি-র বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে তা জানতে চেয়েছে তৃণমূল। এই 'হত্যা'র জন্য নির্বাচন কমিশনের পদস্থ কর্তাদের বিরুদ্ধেই বা কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তাও জানতে চেয়েছে তৃণমূল।