বিজেপি-তে যোগদান করবেন কিনা তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত খোলসা করে কিছু বলেননি দীনেশ ত্রিবেদী। তবে শনিবার তিনি জানিয়েছেন, বিজেপির প্রস্তাবে তিনি সম্মানিত। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন বিজেপির প্রস্তাবে সম্মতি জানালে তাঁর সুবিধেই হবে। বিজেপির প্রস্তাবকে খুব ভালো বলেও জানিয়েছেন তিনি। আগেই তিনি বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ তাঁর বন্ধু। বিজেপি প্রবীন নেতাদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কও খুব ভালো।
তবে এখনই তিনি কিছু বলছেন না। আগে তিনি থিতু হবেন তারপরেই সিদ্ধান্ত নেবেন বলেও জানিয়েছেন দীনেশ ত্রিবেদী। একই সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেছেন, সকলেরই মাথা উঁচু করে রাখা উচিৎ। কিন্তু হিংসার পরিবেশে মাথা উঁচু করে রাখা যায় না বলেও জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সঠিকই বলেছেন তিনি সর্বদা মাথা উঁচু করে থাকতে চান। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসে তা পারছিলেন বলে গতকালই জানিয়েছিলেন দীনেশ ত্রিবেদী। তিনি বলেছিলেন, তৃণমূলে দমবন্ধ পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
সংসদে বাজেট অধিবেশন চলাকালীন আচমকাই তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ পদ থেকে পদত্যাগ করার কথা জানিয়েছিলেন দীনেশ ত্রিবেদী। তাঁর এই ঘোষণার পরই বিজেপি নেকাপা তাঁকে গেরুয়া শিবিরে যোগদান করতে বলেছিলেন। কৈলাশ বিজয় বর্গীয় থেকে শুরু করে দীলিপ ঘোষ সকলেই জানিয়েছিলেন বিজেপি দরজা তাঁর জন্য খোলা। তারপরই দীনেশ ত্রিবেদী জানালেন বিজেপির প্রস্তাবে তিনি সম্মানিত।
বাংলার নির্বাচনকে পাখির চোখ করেছে বিজেপি। অমিত শাহ থেকে জেপি নাড্ডার মত প্রথম সারির নেতারা একাধিকবার বাংলায় আসছেন দলীয় কর্মী ও অনুগামীদের উজ্জীবিত করতে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে একের পর এক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা দলবদল করছেন। সকলেই গন্তব্য গেরুয়া শিবির। বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি দ্বৈরথ প্রকাশ্যে আসছে।