নন্দীগ্রামের বয়াল নিয়ে মমতার হাতে লেখা চিঠি, অভিযোগ খারিজ করল নির্বাচন কমিশন

  • নন্দীগ্রামের বয়াল নিয়ে হাতে লেখা চিঠি
  • চিঠি লিখেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 
  • উত্তর দিল নির্বাচন কমিশন 
  • দুই পর্যবেক্ষেকের রিপোর্টের ভিত্তিতেই উত্তর 

Asianet News Bangla | Published : Apr 4, 2021 10:03 AM IST / Updated: Apr 04 2021, 05:19 PM IST

নন্দীগ্রামের বয়ালের ভোট নিয়ে মমতা বন্ধ্যোপাধ্যায়ের হাতে লেখা চিঠির উত্তর দিল নির্বাচন কমিশন। মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমোর লেখা চিঠির পয়েন্ট টু পয়েন্ট উত্তর দেওয়া হয়েছে। মমতার অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। একই সঙ্গে তাঁর আচরণ তদন্তেরঅধীনে রয়য়েছে বলেও সূত্রের খবর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগকে 'সত্যি ভুল' ও  'উপাদানহীন' বলেও মন্তব্য করেছে নির্বাচন কমিশন। 


পয়লা এপ্রিল ভোট গ্রহণ হয় নন্দীগ্রামে। দুপুরের পর থেকে বয়াল ভোট গ্রহণ কেন্দ্র নিয়ে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে।  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন। তিনি তাঁর চিঠিতে বলেছিবেম বয়াল ভোটকেন্দ্রে মোতায়েন করা বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের জওয়ানরা ভোট কেন্দ্রের ভিরতে ছিলেন। তাঁরা ভোটারদের একটি নির্দিষ্ট দলকে ভোট দেওয়ার জন্য প্রভাবিত করছিলেন। কমিশন জানিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। শনিবাবর বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়ক ও বিবেক দুবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ নিয়ে চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। আর সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে বয়াল বুথটি দখল করার জন্য বাইরে থেকে কোমও লোক বন্দুক বা গুন্ডাদের নিয়ে আসার কোনও কথা উল্লেখ করা হয়নি। বিশেষ পর্যবেক্ষকদের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই কমিশন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিঠির উত্তর দিয়েছে।

Love Story, ৫০ বছর পর রাজস্থানের ভুতুড়ে গ্রামের বৃদ্ধ দারোয়ান ফিরে পেলেন তাঁর প্রেমিকাকে ...

ভোটারদের প্রভাবিত করছে কেন্দ্রীয় বাহিনী, নির্বাচন কমিশনে আবারও নালিশ ঠুকল তৃণমূল ...

নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে ভোটের দিন সকাল সাতটা বয়াল বুথে একটি মক ড্রিল হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি, সিপিএম ও নির্দল পোলিং এজেন্ট। সেই ঘটনার সিসিটিভিটি ফুটেজও রয়েছে তাঁদের কাছে। মক ড্রিলের পরেই ভোট গ্রহণ শুরু হয়। আর এই প্রক্রিয়ার মধ্যে কোনও ভুল ছিল না। 

কমিশনের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে  ভোট কেন্দ্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদক্ষেপ পশ্চিমবঙ্গে ও সম্ভবত অন্য কোনও রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ার আপার সম্ভাবনা রয়েছে। একই সঙ্গে বলা হয়েছে এটি খুবই দুঃখের বিষয় যে একটি গণমাধ্যমও ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ভুল ব্যখ্যা করে ভোটার দের বিভ্রান্ত করতে উদ্যোগ নিয়েছিল। নির্বাচনের সময়ও এই প্রক্রিয়া চালু ছিল। 


তবে জনপ্রতিনিধিত্বের আইনের ১৩১ অনুচ্ছেদে তভোট কেন্দ্র ও তার আসে পাশে বিশৃঙ্খল আচরণের অভিযোগে তিন মাসের কারাদণ্ড ও জরিমানা  নিদান দেওয়া রয়েছে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত সাতটি অভিযোগ করা হয়েছে। যদিও তৃণমূলের এজেন্টকে বিজেপি সমর্থক বা বহিরাগতরা বন্দুক ও গুন্ডা দিয়ে ভয় দেখিয়ে বুথে প্রবেশ করতে দেয়নি- এই অভিযোগটি খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। তবে কমিশন জানিয়েছে কয়েক জন মানুষ বুথের বাইরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যারে পক্ষে ও বিপক্ষে স্লোগান দেওয়ায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়েছিল। কিন্তু হিংসা ছড়িয়ে পড়ার মত কোনও কোনও ঘটনা ঘটেনি। তবে বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া জানায় নি। 


 

Share this article
click me!