ষষ্ঠ দফার আগের ভোটের আগে গুলিবর্ষণ চলে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায়। একেই ভোটের মাঝেই রাজনৈতিক হিংসা বৃদ্ধি পাওয়ায় কড়া নজর রাখছিল কমিশন। এদিকে ফের ভোটের মাঝে গুলিকাণ্ডে স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক ছড়ায় উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া এলাকায়। আর এবার এই ঘটনার রিপোর্ট তলব করেছে কমিশন।
আরও পড়ুন, ভোটের সকালেই রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হাবড়ায়, একাধিক স্থানে BJP কর্মীদের উপর ভয়াবহ হামলা
মূলত বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই অশান্তির খবর আসতে থাকে চোপড়া এলাকা থেকে। ভোটের সকালে সেখানে বিজেপি এজেন্টকে বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এবারের ঘটনাতেও সেই অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে। রামগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ জানাতে যান চোপড়ার বিজেপি প্রার্থী সাহিন আখতার। যদিও এই অভিযোগ পুরোটাই অস্বীকার করেছে তৃণমূল। যদিও শুধু এদিন বা ষষ্ঠ দফার আগের দিন নয়, অশান্তি আগে থেকেই ছিল চোপড়ায়। ক্রমশ তা বড় আকার নেয়। উল্লেখ্য, ১৭ মার্চ বিজেপি প্রার্থী সাহিন আখতারকে লক্ষ করে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে। ভাঙচুর চালানো হয় ওই বিজেপি প্রার্থীর বাড়ি। হামলায় আহত হন অন্তত ৬ জন। তবে আর নয়, এবার তাই হিংসা বন্ধ করে শান্তি ফেরাতে এই ঘটনার রিপোর্ট তলব করেছে কমিশন।
আরও পড়ুন, ষষ্ঠ দফার আগে ফের হিংসা, তৃণমূল কর্মীর 'গলা কেটে খুন', কাঠগড়ায় কে
এদিকে ষষ্ঠ দফার ভোটের সকালে শুধু চোপড়া এলাকাই নয় একাধিক স্থানে বিজেপি কর্মী-এজেন্টদের বাধা দেওয়া ও হামলার খবর মিলেছে। প্রতিবারেই কাঠগড়ায় সেই তৃণমূল। খড়দা রুইয়ার ১৪৩, ১৪৪, ১৪৫ নম্বর বুথে বিজেপি কর্মীদের ঢুকতে বাধা, ওঠে মারধরেরও অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বন্দিপুর ১৭৬ নম্বর বুথের তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী বিজেপি কর্মীকে মেরে পা ফাটিয়ে দেওয়া এবং ১৭৭ ও ১৬৩ নং বুথে এজেন্ট বসতে না দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। কেতুগ্রামে বুথের কাছে ব্যাপক বোমাবাজি। বিজেপি কর্মীদের লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। বোমা ছোঁড়ার অভিযোগ সেই তৃণমূলের বিরুদ্ধেই।