দিন ঘোষণা না হলেও, রাজ্যে নির্বাচনের দামামা যে বেজে গিয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। দল বদল থেকে রাজনৈতিক সভা, মিছিল, জোরকদমে সব কিছুই চলছে রাজ্য জুড়ে। শাসক-বিরোধী সব পক্ষই বাক্যবাণে বিদ্ধ একে অপরকে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের নির্বাচনের পরিস্থিতিও খতিয়ে দেখলেন উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন ও তার টিম। বুধবার কলকাতার একটি পাঁচতারা হোটেলে প্রথমে সমস্ত জেলার পুলিশ সুপার ও কমিশনারেট কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন জৈন। করোনা আবহে ভোট বলে আলোচনা সেরেছেন কোভিড টাস্ক ফোর্সের সঙ্গেও। জানা গিয়েছে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি ঘোষণা হতে পারে ভোটের দিনক্ষণ। তারমধ্যে শুক্রবার ঘোষণা করা হল বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা।
রাজ্যের ২৯৪টি আসনের ভিত্তিতে যে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে এবার রাজ্যে ভোটযজ্ঞে অংশ নিতে চলেছে মোট ৭ কোটি ৩২ লক্ষ ৯৪ হাজার ৯৮০ জন। এই মোট ভোটারেরর মধ্যে পুরুষ ভোটারের মহিলাদের থেকে কিছুটা বেশি। রাজ্যের পুরুষ ভোটারের সংখ্যা হল ৩ কোটি ৭৩ লক্ষ ৬৬ হাজার ৩০৬ জন, আর মহিলা ভোটারের সংখ্যা হল ৩ কোটি ৫৯ লক্ষ ২৭ হাজার ০৮৪ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ১ হাজার ৫৯০ জন। এবছর নির্বাচনে নতুন ভোটার তালিকায় নাম উঠেছে ২০ লক্ষ ৪৫ হাজার ৫৯৩ জন, নাম বাতিল করা হয়েছে ৫ লক্ষ ৯৯ হাজার ২১৯ জন, মোট সংশোধন হয়েছে ১৪ লক্ষ ৪৫ হাজার ৬৭২ জন। মোটের উপর ২ শংতাশ বৃদ্ধি। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যের ভোট পর্ব আরও একধাপ এগিয়ে গেল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের পর নির্বাচন কমিশবনের কাজ আরও গতি পাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। কমিশন সূত্রে খবর, এই মাসেই রাজ্যে আসছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী মার্চ থেকে এপ্রিলের শেষ সপ্তাহের মধ্যেই ভোটপর্ব মিটিয়ে ফেলতে চাইছে কমিশন। কারণ ৪ মে থেকে ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে পরীক্ষার পুরো প্রক্রিয়া শেষ করা হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। স্বাভাবিক ভাবেই ভোটগ্রহণের জন্য যাতে পরীক্ষায় কোনো রকমের ব্যাঘাত না ঘটায়, সে বিষয়টিও বিবেচনায় রাখছে কমিশন। আর মে মাসের মাঝামাঝি ঘোষণা হতে পারে নির্বাচনের ফল।