'সময় এসেছে মমতাকে জবাব দেওয়ার', ভোট শুরুর ৫ দিন আগে কৈলাস বিজয়বর্গীয়র একান্ত সাক্ষাতকার

৫ দিন পরই বাংলার ভোট

পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির দায়িত্ব কৈলাস বিজয়বর্গিয়র কাঁধে

তিনি বিজেপির সাধারণ সম্পাদকও বটে

একান্ত সাক্ষাতকারে কী জানালেন তিনি

amartya lahiri | Published : Mar 22, 2021 12:18 PM IST

পশ্চিমবঙ্গে ভোটগ্রহণ শুরু হচ্ছে ২৭ মার্চ। ওইদিন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম পর্বের ভোট গ্রহণ। তার মাত্র ৫ দিন আগে, এশিয়ানেট নিউজকে একান্ত সাক্ষাতকার দিলেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গিয়। বাংলায় বিজেপিরও বিশেষ পর্যবেক্ষকও তারা। বাংলায় বিজেপির জয়ের বিষয়ে তিনি আত্মবিশ্বাসী। নির্বাচনে জয়ের কৌশল কী বিজেপির, জিতলে বিজেপির লক্ষ্য কী হবে - বিভিন্ন বিষয়ে মুখ খুললেন তিনি।

প্রশ্ন: এবার পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন অন্যান্য বারের নির্বাচনের থেকে কোথায় আলাদা?

কৈলাস: পশ্চিমবঙ্গে হিংসতার রাজনীতি রয়েছে। অরাজকতার পরিবেশ রয়েছে। জনগণ মমতার শাসনে অসন্তুষ্ট। আমরা বাংলায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। আমাদের কর্মীরা প্রাণপণে চেষ্টা করছেন। বাংলার ছবিটা আমরা বদলে দেব।

প্রশ্ন: বাংলায় বহু বিজেপি কর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল। যদি আপনাদের সরকার গঠিত হয়, তবে তাদের পরিবারদের জন্য কী করবেন আপনারা?

কৈলাস: বিজেপি কর্মীদের রাজনৈতিক কারণে হত্যা করা হয়েছে। বাংলায় বিজেপি সরকার গঠিত হলে, নিহত পরিবারের কর্মীদের পরিবারের জন্য রোজগারের ব্যবস্থা করবে। পরিবারের চাকরিযোগ্য সদস্যদের চাকরি দেওয়া হবে। আমরা আমাদের সমস্ত কর্মী এবং তাদের পরিবারকে সম্ভাব্য সকল প্রকারের সহায়তা প্রদান করব।

প্রশ্ন: মমতা সরকার তুষ্টিকরণ নীতি গ্রহণ করছে?

কৈলাস: অবশ্যই মমতাজি এই নীতি গ্রহণ করছেন। তুষ্টিকরণের জন্য মমতার প্রতি মানুষ বিরক্ত। তাই মানুষের মধ্যে দিদির বিরুদ্ধে বিদ্বেষ তৈরি হয়েছে। এই রাগেই তিনি হিংসার রাজনীতি শুরু করেছেন।

প্রশ্ন- বাংলায় এবারের ভোটের মূল বিষয়গুলি কী কী?

কৈলাস: দারিদ্র্য, বেকারত্ব, কৃষকরা উৎপাদনের মূল্য পান না, তুষ্টিকরণ নীতি, হিংসার রাজনীতি। জনসাধারণকে এই সমস্ত কিছু সহ্য করতে হয়েছে। সেই কারণেই জনগণ এমন এক সরকার চাইছে, যা স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু এবং সবার জন্য কাজ করে। যেখানে কোনও তুষ্টিকরণ থাকবে না। সবার প্রতি সবার বিশ্বাস থাকবে। বাংলার জনগণ মনে করছে মোদীজির নেতৃত্বে এই ধরণের সরকার গঠন করা যাবে। এই কারণেই বিজেপি এবং মোদী জি-র প্রতি মানুষের আস্থা বেড়েছে।

প্রশ্ন: আপনাদের অভিযোগ তোলাবাজি ও চিট ফান্ডের ফলে পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়ন বন্ধ হয়ে গেছে, এ সম্পর্কে কিছু বলুন?

কৈলাস: তোলাবাজরা পুরো বাংলায় রাজত্ব করছে। সব জায়গায় তোলাবাজি রয়েছে, দুর্নীতি রয়েছে। জনগণ এবার বুঝে গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোলাবাজির জবাব দেওয়ার সময় এসে গিয়েছে।

প্রশ্ন: সরকার গঠন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিজেপি যদি ৩টি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে, সেই কাজগুলি কী হবে?

কৈলাস: প্রথমত, বিজেপি সরকার গঠনের সঙ্গে সঙ্গে আমরা হিংসার রাজনীতির বন্ধ করবো। দ্বিতীয়ত, আমরা কৃষকদের উপর হওয়া অবিচারের অবসান করব। তৃতীয়ত, বাংলায় সিএএ আইন প্রয়োগ করা হবে। এছাড়াও, শান্তিনিকেতনকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিতে বিজেপি ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করবে। হুগলি নদীর তীরে ঘাট তৈরি করে গঙ্গা আরতির আয়োজন করা হবে। পড়াশোনায় বাংলা ভাষা বাধ্যতামূলক করা হবে। মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং সহ সকল প্রযুক্তিগত শিক্ষা বাংলা ভাষায় পড়ানো হবে। বাংলায় পর্যটনের বিকাশে এক হাজার কোটি টাকার প্রাথমিক তহবিল প্রকাশ করা হবে। রাজ্য সরকারের সমস্ত চাকরিতে মহিলাদের ৩৩% সংরক্ষণ দেওয়া হবে। জেলেদের বছরে ছয় হাজার টাকা করে সহায়তা দেবে বিজেপি সরকার। আর, বাংলার প্রত্যেক দরিদ্র মানুষ আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সুবিধা পাবেন।

Share this article
click me!