'এবার, ২০০ আসন পার' - একান্ত সাক্ষাতকারে কী জানালেন স্বপন দাশগুপ্ত

একাধারে প্রথিতযশা সাংবাদিক, আবার রাজনীতিবিদও বটে

ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদের নিশ্চিন্ত আসনে

বিজেপি তাঁকে বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী করেছে তারকেশ্বর থেকে

এশিয়ানেট নিউজ বাংলাকে একান্ত সাক্ষাতকারে কী বললেন স্বপন দাশগুপ্ত

 

Asianet News Bangla | Published : Apr 15, 2021 11:56 AM IST / Updated: Apr 15 2021, 05:34 PM IST

শমিকা মাইতি: অনেকে বলছেন তিনিই বাংলায় বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী মুখ। তিনি প্রথিতযশা সাংবাদিক তথা রাজনীতিবিদ স্বপন দাশগুপ্ত। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন ২০২১-এ তাঁকে তারকেশ্বর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। রাজ্যসভার সাংসদের নিশ্চিন্ত আসন ছেড়ে এপ্রিলের গরমে প্রচার করেছেন তিনি। নির্বাচন চলাকালীনই এশিয়ানেট নিউজ বাংলাকে একান্ত সাক্ষাতকার দিলেন স্বপন দাশগুপ্ত। কী বললেন তিনি?

এশিয়ানেট নিউজ বাংলা: আপনারা বলছেন সোনার বাংলা হবে। সোনার বাংলার জন্য বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনার কথা বলছেন আপনারা। চার দফার ইলেকশন শেষ হয়ে গেল। কী মনে হচ্ছে, বঙ্গের জনতা কি আপনাদের সোনার বাংলার যে ভাবনা, তার সঙ্গে একাত্ম হতে পেরেছে?

স্বপন দাশগুপ্ত: আমাদের যতটা এক্সপেকটেশন ছিল মানুষের সাড়া তা অতিক্রম করে গিয়েছে। গ্রামবাংলায় যে ধরনের সাড়া আমরা পেয়েছি, তা অতুলনীয়। এটা এক দিক থেকে হয়তো যখন ২ তারিখে গণনা হবে, তখন দেখতে পাবেন, প্রথম চারটি ফেজের কথাই আমি বলে রাখছি, কোনও কোনও ক্ষেত্রে একদম ‘ওয়েভ ইলেকশন’ হতে চলেছে। আমরা সুনিশ্চিত প্রথম চারটে ফেজে যে ধরনের ট্রেন্ড দেখতে পাচ্ছি, সেই ট্রেন্ডটা যদি ৫, ৬, ৭, ৮ ফেজে চলে, তাহলে অমিতজী যেটা বলেছিলেন, যেটা নিয়ে অনেকে হাসাহাসি করেছিল, যে ২০০ অতিক্রম করতে পারি, সেই দিকেই আমরা যাচ্ছি।

এশিয়ানেট নিউজ বাংলা: নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ প্রত্যেকেই বলছেন যে এই চার দফার আসনে আপনারা একশোর কাছাকাছি আসন পেয়ে গিয়েছেন। কেউ কেউ বলছেন যে ১০০ ক্রশ করে গিয়েছে। আপনি কোন জায়গাটা বলবেন, একশোর কাছাকাছি না একশো পার হয়ে গিয়েছে?

স্বপন দাশগুপ্ত: আমি তো জ্যোতিষি নয় যে ভবিষ্যৎবাণী করব। কিন্তু আমরা যেটা ধরে নিচ্ছি যে, আমরা এখন প্রায় একশোর কাছাকাছি আছি। একশো অতিক্রমও করতে পারে। অনেকগুলো জায়গা বলা ডিফিকাল্ট। অনেকগুলো জায়গায় খুব ক্লোজ কনটেস্ট আছে। কিন্তু ওভারঅল এই চারটি ফেজে যে ট্রেন্ড আছে, সেটা যদি আগামী চারটা ফেজেও চলে, তাহলে আবার বলছি দু’শো অতিক্রম করে যাব আমরা।

এশিয়ানেট নিউজ বাংলা: বিজেপি যদি ক্ষমতায় আসে, তাহলে কর্মসংস্থান ও শিল্পায়ন নিয়ে যে চাহিদা রয়েছে তা কতদিনের মধ্যে বাস্তবায়িত হতে পারে বলে আপনার ধারণা?

স্বপন দাশগুপ্ত: প্রথম কথা পশ্চিমবঙ্গে আজকের দিনে সবচেয়ে যে বড় সমস্যা, যার সঙ্গে অন্যগুলোও যুক্ত আছে, সেটা হল পরিবেশ। আজকের পশ্চিমবঙ্গে দু’রকমের সমস্যা দাঁড়াচ্ছে। একটা হচ্ছে হিংসার রাজনীতি। সারা বিশ্বে, ভারতের কাছে পশ্চিমবঙ্গের যে ছবিটা তৈরি হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ হল হিংসার জায়গা। এখানে ব্যবসা করা অসুবিধার ব্যাপার। এখানে ‘চলবে না, কালো হাত গুঁড়িয়ে দাও’ ইত্যাদি যে সব আমরা সিপিএমের আমলে শুনতাম, সেই ধরনেরই একটা পরিবেশ এখনও চলছে। আর তার সঙ্গে তৃণমূল নতুন যেটা করে গিয়েছে, সেটা হল তোলাবাজি। এই যে করাপশন, যেটা আগে পশ্চিমবঙ্গে বড় সমস্যা ছিল না। আগে একটা অগোছালো ব্যাপার ছিল। কিন্তু করাপশন, দুর্নীতি, তোলাবাজি, এগুলো হয়তো এতটা ছিল না।  তৃণমূল এই গত পাঁচ বছরে বিশেষ করে এমন ভাবে এটা করে দিয়ে গিয়েছে, যে এখন লোকে আতঙ্কিত হয়ে রয়েছে। সরকারি পরিকল্পনা মানুষের কাছে পৌঁছচ্ছে না, দলীয় রাজনীতি তার মধ্যে জড়িয়ে রয়েছে। তার উপরে আমফানের ব্যাপারটা নিয়ে বিচ্ছিরি একটা রাজনীতি হয়েছে। গরিব মানুষ টাকা পায়নি। তাছাড়া আর একটা জিনিস হল কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা ও রাজ্যের পরিকল্পনাগুলো মানুষের কাছে না পৌঁছে অন্য জায়গায় চলে যাচ্ছে। এই ধরনের বিষয়গুলো নিয়ে মানুষের মনে একটা হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। তার সঙ্গে একটা রাগও তৈরি হয়েছে, যেটা প্রকাশ পাচ্ছে। মানুষের এই যে ভাবনা, তাকে একটা পজিটিভ ডিরেকশনে চ্যানেল করা আমাদের প্রথম কাজ। সরকারে এসে প্রথমেই আমাদের যেটা করতে হবে সেটা হচ্ছে এই পরিবেশ বদলানো। পরিবেশ বদলাতে পারলেই অটোমেটিক্যালি অনেক কিছু আরোগ্য হবে। অনেকগুলো কেন্দ্রীয় পরিকল্পনার সুবিধা আমরা নিইনি, সে বিভিন্ন কারণে নিইনি। স্মার্ট সিটি হচ্ছে একটা, কিসান নিধি সম্মানটা নিইনি, আয়ুষ্মাণ ভারতটা নিইনি। তারপরে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনাটা ঠিকমতো  ইমপ্লিমেন্ট করা হয়নি। অনেকরকম জিনিস ইমিডিয়েট,  শর্ট টার্মে করা যাবে। মানে আপনি যদি ৬ মাসের, এক বছরের মধ্যে জিনিসটা দেখেন, এমন করতে হবে যেন বোঝা যায়, কাজ হচ্ছে, রাস্তা তৈরি হচ্ছে, যেগুলো ইনকমপ্লিট প্রোজেক্ট ছিল, সেগুলো শেষ হচ্ছে। সেইগুলো দিয়েই একটা পরিবেশ তৈরি হয়। তাছাড়া আইন শৃঙ্খলা, মহিলা সুরক্ষা বিশেষ চিন্তার ব্যাপার হয়ে গিয়েছে। এগুলো ঠিক করতে কঠিন কতগুলো ডিসিশন আমাদের নিতে হবে। লোকেদের মনে আস্থা তৈরি করা দরকার। বাইরে টাটা, সিঙ্গুরের পর পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে যে অনাস্থা বা ল্যাক অফ কনফিডেন্স তৈরি হয়েছে সেটা ঠিক করতে হবে। লোকজনকে বলতে হবে যে, দেখো, পশ্চিমবঙ্গ ইজ ব্যাক ইন বিজনেস।

এশিয়ানেট নিউজ বাংলা: পশ্চিমবঙ্গে যে কয়েকটি বাঙালি শিল্পপতি পরিবার রয়েছে, তার মধ্যে আপনাদেরটা অন্যতম। আপনাদের পরিবারের একজন বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন উদ্যোগপতিকে প্রচুর অর্থ দিয়ে সাহায্য করতেন। সেই যে ফ্যামিলি ট্র্যাডিশন আপনার মধ্যে রয়েছে, সেটা কি কোনও ভাবে কাজে লাগাবেন?

স্বপন দাশগুপ্ত: আশা করি পারব। আসল কথাটা হচ্ছে কি জানো, পশ্চিমবঙ্গে আমরা এখন শুধু নিজেদের চাকরি নিয়ে বসে আছি। জীবনে চাকরির একটা বড় স্থান আছে ঠিক। কিন্তু লোককে রোজগার করতে হলে নিজের পায়ে নিজে দাঁড়ানোর মধ্যেও একটা বড় স্থান রয়েছে। আজকে পশ্চিমবঙ্গে দুর্ভাগ্যক্রমে বাঙালি অন্ত্রোপ্রনিওর, বাঙালি শিল্পপতিরা একদম মাইনরিটি হয়ে গিয়েছেন। প্রায় নেই। এই কালচারটা আমাদের মধ্য  থেকে চলে গিয়েছে। আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় যে জিনিসটা বা স্বদেশি যুগে যে ধরনের একটা কালচার তৈরি করার চেষ্টা হয়েছিল, সেটা যেন,  ১৯৬৭তে বামযুগের সময় থেকে আমাদের কাছ থেকে মুছে গিয়েছে। আজকে তাই পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি যদি জেতে, যদি কেন, যখন জিতবে, তখন এটা শুধু একটা রাজনৈতিক জয় হবে না। এটার মধ্যে দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের পুরো মনোভাবটাকে বদলানোর চেষ্টা করব আমরা। মানুষ আমাদের সমর্থন করছে। অনেকদিন হয়েছে, এই ধরনের নাকারত্বক রাজনীতি নিয়ে। এবার একটা পজিটিভ ডাইরেকশনে যেতে হবে। বাঙালির যে অস্তিত্ব আছে, পশ্চিমবঙ্গের যে অস্তিত্ব আছে, তাকে আর আমরা খেয়ালখুশি মতো নয়ছয় করতে দিতে পারি না।

এশিয়ানেট নিউজ বাংলা:   আচ্ছা স্বপন দাশগুপ্ত তো অর্থনীতির লোক, শিল্পের লোক। সেখানে দাঁড়িয়ে কি সিঙ্গুর বেটার আসন হত না?

স্বপন দাশগুপ্ত: আমি ফর্মাল ভাবে অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা করিনি। আমি ইকনমিক্স পড়িনি। আমি ইতিহাসের ছাত্র। আমি ইতিহাসই পড়েছি। কার্যক্ষেত্রে হয়তো অর্থনীতি নিয়ে নাড়াচাড়া করেছি, একটু চর্চা হয়েছে। কিন্তু তারকেশ্বরে আমাকে এই সিটটা দেওয়ার সময় অমিতজি নিজে বললেন যে তোমার জন্য তারকেশ্বর  সবচেয়ে উপযুক্ত। আমি একটু বিস্মিত হয়েছিলাম। তারকেশ্বর কেন? আমি তো ভেবেছিলাম আশেপাশে এই দক্ষিণ কলকাতার কোনও একটা সিটে কিছু হবে। কিন্তু উনি বললেন ‘না, তোমার অভিজ্ঞতা বাড়বে এতে। তুমি দেখবে ওখানে যে সমস্যা, সেটা গোটা পশ্চিমবঙ্গের সমস্যাগুলোর একটা প্রতীক।’ আমিও দেখলাম, তারকেশ্বরে বড় ধর্মস্থান আছে ঠিকই । কিন্তু কনস্টিটিউয়েন্সির দিক দিয়ে দেখলে ১০-১২ শতাংশ ভোটার ওখানে থাকে। বাকিটা পুরো গ্রামীণ। আলু চাষ নিয়ে সমস্যা আছে, মাটির বাড়ি নিয়ে সমস্যা, খেতমজুরদের সমস্যা আছে। এই যে সমস্যাগুলো, পুরো হুগলি ডিস্ট্রিক্টেই আছে, এটা যাকে বলে হার্ট অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল। এই অভিজ্ঞতাটা আমার কাছে অতুলনীয়। আমার যে শিক্ষা ছিল, এটা যেন সেকেন্ড টাইম লার্নিং প্রসেস। আমার কিছু বলার ভাষা নেই।  মানুষ ওখানে যে ভাবে আমাকে নিজের কাছে টেনে নিল, আমি মনে করি সেটা আমার কাছে বিরাট একটা এক্সাইটিং চ্যালেঞ্জ। একটা রাজ্য, যার ইতিহাস নিযে আমরা গর্ব করি, কিন্তু বর্তমানটা নিয়ে একটু ডিপ্রেসড হয়ে যাই, সেটার ভবিষ্যৎটাকে যাতে একটু উজ্জ্বল করতে পারি, সেটাই আমাদের পরিকল্পনা। আশা করি মানুষ আমাদের আশীর্বাদ দেবে।  আমরা যেন ভুলে যেতে পারি যে একটা সময় হয়ে গিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ মানে হিংসার রাজনীতি, খুনোখুনির রাজনীতি, তোলাবাজির রাজনীতি। ওগুলো যেন একটা দুর্দিনের কথা, ভুলে যেতে পারি। ওটা যেন একটা ইতিহাস। অনেক সময় ইতিহাস ভালও থাকে, খারাপও থাকে। ওইটা যেন আমরা আস্তে আস্তে ভুলতে পারি।

এশিয়ানেট নিউজ বাংলা: শীতলকুচি নিয়ে কী বলবেন?

স্বপন দাশগুপ্ত: দেখুন এইটা একটা দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। কেউ মারা যাওয়া, গুলিতে মরে যাওয়া বা লাইনে গুলি করে কাউকে মারা এগুলো খুবই দুঃখজনক। হত্যার রাজনীতি, হিংসার রাজনীতি খুবই খারাপ।এখন কথাটা এইরকম দাঁড়াচ্ছে, যে একটা পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনভিত্তিক হিংসা অন্য জায়গার তুলনায় এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে যে আজকে আমাদের আটটা ফেজে ভোট করতে হচ্ছে। যেখানে তামিলনাড়ুর মতো এত বড় একটা রাজ্যে সেটা এক দিনে হয়ে যেতে পারে। বা কেরালায় এক দিনে হয়ে যেতে পারে। আমার মনে হয় এটা খুবই ইররেসপনসিবল ব্যাপার, যে একজন মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, বাহিনীকে ঘেরাও করো, ওদের ঢুকতে দিও না, ওরা শত্রু, ওরা বাইরের লোক। এই যে একটা পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছিলেন, আমি মনে করি এইটার কারণেই দু্র্ভাগ্যজনক ঘটনাটা হল। কিন্তু আমাদের আর একটা জিনিস মনে রাখতে হবে, যেটা নিয়ে শাসকদল কিছু বলছে না, যে আনন্দ বর্মন, একজন লাইনে দাঁড়িয়ে আছে ভোট দেবে বলে, সেখানে তাকে গুলি করছে তার মা-র সামনে। এটা নিয়েও তো বলতে হবে। তাই আমি বলছি যে, এটা খুবই খারাপ একটা ব্যাপার। আজকে আমরা যে আশা করেছিলাম, পুরো নির্বাচন আটটা ফেজে করলে কেউ মারা যাবে না, হিংসার ঘটনা কন্ট্রোল করা যাবে, পঞ্চাযেত ভোটে যেটা হয়েছিল তার কোনও রিপিট হবে না, সেই ছবিটার মধ্যে একটু দাগ লেগে গেল।

"

এশিয়ানেট নিউজ বাংলা: আচ্ছা ‘দিদি ও দিদি’ বলে যে একটা ডাক, নেটদুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে, সেটা নিয়ে কী বলবেন? যত এই ডাক উঠছে ততই যেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তেলেবেগুনে জ্বলে উঠছেন।

স্বপন দাশগুপ্ত: উনি তো খুব সহজে তেলেবেগুনে হয়ে যান। দিদি ও দিদি, মোদিজী একটু ব্যঙ্গ করে বলেছেন না হয়, আমি বলছি না ব্যঙ্গ করে বলা। কিন্তু জয় শ্রীরাম শুনেও রেগে যাচ্ছেন। সব জিনিসেই যদি অত শর্ট ফিউজে উনি থাকেন, এটা কি ঠিক?  রাজনীতিতে অনেকেই এরকম করে কথা বলেন। আমাদের নিয়েও অনেক কিছু বলে। তাই নিয়ে কি আমরা ওই ভাবে রিঅ্যাক্ট করব? আমাদের প্রতিক্রিয়াটাও একটা গণ্ডির ভিতরে থাকতে হয়। আসল কথাটা হচ্ছে যে রাজনীতিতেও একটা সংস্কার আছে। সংস্কারটা মোটামুটি মেনে চলা উচিত আমি মনে করি।

এশিয়ানেট নিউজ বাংলা: কোভিডের প্রকোপ বেড়ে গিয়েছে। তার জন্য পশ্চিমবঙ্গ দ্রুত উঠে আসছে আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে। তার জন্য এই নির্বাচন, রাজনৈতিক  সভাগুলোকেই দায়ী করা হচ্ছে।

স্বপন দাশগুপ্ত: আমি জানি না কোনটা ঠিক। তবে এটা সত্যি কোভিডের ইনসিডেন্স অনেক বেড়ে গিয়েছে। আমার একটা ভয় হয়। যেটা হল যে, কোনও কোনও বর্গের মানুষ কোভিড নিয়ে খুব বেশি সচেতন। আবার কোনও কোনও গ্রামে গেলে মাস্ক তো দূরের কথা, কোভিড নিয়ে কোনও সচেতনতা নেই। কেসও কম সেখানে। এখন রাজনৈতিক ভাবে একটা ধরনের পরিকল্পনা হচ্ছে যে, যদি প্রচার বন্ধ করে বিরাট একটা আতঙ্কের সৃষ্টি করা যায়, কেউ কেউ লোক ভোট দেবে, কেউ কেউ দেবে না। যেটা নিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির পার্থক্য আছে, আমরা চাই ম্যাক্সিমাম ভোট। ৮০, ৯০ যত পার্শেন্টেজ ভোট হয়, তত ভাল।  ওনারা চাইছেন ভোটটা সীমিত থাকুক সমাজের কোনও কোনও বর্গের মধ্যে। সেই দু’টোর মধ্যে যে পার্থক্য আছে, সেখানে কোভিডের রাজনীতিও যুক্ত হয়েছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক।

Share this article
click me!