১০ বছর পরও অটুট মমতা-ম্যাজিক
বাংলায় দারুণ জয় তৃণমূলের
নন্দীগ্রামে পরাজিত শুভেন্দু অধিকারীও
এরপরই আর হুইল চেয়ারে নিজেকে আটকে রাখলেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
১০ বছর হয়ে গিয়েছে। কিন্তু মমতা-ম্যাজিক কমেনি এতটুকু। ২০১১-তে পরিবর্তনের ভোটে ১৮৪টি আসনে জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। ৫ বছর পর ২০১৬ সালে তৃণমূল কংগ্রেস জিতেছিল ২১১-টি আসন। এবার এখনও অবধি প্রবণতা যা বলছে তাতে ২১০টি আসন জিততে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আরর এই বিপুল জয়ের পর আর হুইল চেয়ারে আবদ্ধ থাকতে পারলেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একেবারে নিজের পায়ে হেঁটে এলেন শুধু নয়, সিঁড়ি ভেঙে উঠে কর্মীদের উদ্দেশ্যে সামান্য প্রতিক্রিয়াও দিলেন।
নন্দীগ্রামে প্রচারে গিয়ে গত ১৭ মার্চ আহত হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর থেকে একমাসের উপর নির্বাচনী প্রচার হুইল চেয়ারে বসেই করেছেন। এদিন হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে পরাজিত করার পরই ফের তাঁকে নিজের পায়ে হাঁটতে দেখা গেল। আগের মতোই সাবলীলভাবে দৃপ্তভঙ্গীতে হেঁটে বাসভবনের বাইরে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বললেন, 'বাংলার মানুষ, বাংলার জয়। বাংলাই পারে।'
তবে ওইটুকুই। বাকি সময়টা কিন্তু, দায়িত্বশীল প্রশাসকের মতোই কোভিড মহামারি নিয়ে তিনি কর্মী সমর্থকদের সাবধান করলেন। কর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি তাঁদের কোভিড বিধি মেনে চলার কথা বলেন। বলেন মাস্ক পরতে, জমায়েত না করতে, বাড়ি গিয়ে স্নান করে নিতে। তিনি আরও জানান, কোভিড পরিস্থিতিতে বিজয় মিছিল হবে না। বিজয় মিছিল নিয়ে দলের সিদ্ধান্ত তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে জানাবেন বলে জানিয়েছেন।
মমতা স্পষ্ট জানিয়ে দেন নতুন সরকারের অগ্রাধিকার হবে কোভিড নিয়ন্ত্রণ। এইটুকু বলেই ফের পায়ে হেঁটে বাড়ির ভিতরে ঢুকে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
পরাজয়ের পরও এই নিয়ে কটাক্ষ করতে ছা়ড়েনি রাজ্য বিজেপি। দীর্ঘদিন পর তাঁকে পায়ে হাঁটতে দেখে তারা খুশি জনিয়ে, বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, তিনি সুস্থ হয়েছেন বলে তাঁকে অভিনন্দন।