ব্রগেডে বক্তব্যের শুরুতেই সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম চড়া সুরে আক্রমণ করেন বিজেপিকে। তিনি বলেন ভোটের আগে অনেকেই বলেছিল খেলা হবে। আর তাতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একটি স্টেডিয়ামই দখল করে নিয়েছেন। মোতেয়ায় সর্দার প্যাটেল স্টেডিয়ামের নাম নরেন্দ্র মোদী করে দেওয়ার তীব্র কটাক্ষ করেন তিনি। একই সঙ্গে সমালোচনা করেন রাজ্যের তৃণমূল সরকারের। তিনি বলেন, রাজ্যের উন্নয়ন মানে নীল সাদা রঙ করা। এখানে সরকার পরিবর্তন হলে প্রতিবছর এসএসসি, টেট হবে। সরকারি চাকরির পরীক্ষাও নিয়মমাফিক হবে বলেও প্রতিশ্রতি দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন রাজ্যে দশ বছর ক্ষমতায় থেকে তৃণমূল কংগ্রে কর্মহীন অন্নহীন বাংলা তৈরি করেছে। আর কেন্দ্রে ৭ বছর ক্ষমকায় থাকার পরেও ভোটের প্রতিশ্রুতি পালন করেনি মোদী সরকার।
মহম্মদ সেলিম বলেন করোনা-মহামারির সময় বামেরা সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে শ্রমজীবি ক্যান্টিন চালু করেছিল। একথা জানিয়ে সেলিম বলেন ভোট পাওয়ার লক্ষ্যেই তৃণমূল সরকার মা কিচেন চালু করেছে। যেখানে পাঁচ টাকার বিনিয়ম মাছ ভাত খাওয়ান হচ্ছে। এরপরই তিনি তাঁর স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে দল বদল নিয়ে তৃণমূল ও বিজেপিকে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন একটা সময় এক তৃণমূল নেতা বলেছিলেন রাজ্যে কোনও লাল পাতাকা থাকবে না। কিন্তু এখন সেই নেতাই তৃণমূলের পতাকা ছেড়ে দিয়ে সরাসরি বিজেপি শিবিরে পৌঁছে গেছে। এই রাজ্যে যেসব চিটফান্ডকাণ্ডে যেসব তৃণমূল নেতাদের নাম ছিল আর মোদী তাঁদের পাশে বসিয়ে বলছেন বিজেপি ক্ষমতায় এলে এই রাজ্যে চিটফান্ড কেলেঙ্কারির তদন্ত হবে। অন্যদিনে সিন্ডিকেটরাজ নিয়ে তৃণমূল সরকারকে বারবার আক্রমণ করেছে বিজেপি। কিন্তু বর্তমানে সিন্ডিকেটের নেতারাই বিজেপিতে গিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন সেলিম। সেলিমের বক্তব্যেও একটা বড় অংশ জুড়ে ছিল ভাইপো আর শান্তিনিকেতন।
ব্রিগেডের শেষবক্তা হিসেবে বলতে উঠে সিপিএম নেত্রী দেবলীনা হেমব্রমও বিজেপি ও তৃণমূলকে নিশানা করেন। তিনি বলেন, তৃণমূল ও বিজেপিকে ভাইরাসের সঙ্গে তুলনা করেন বলেন তাদের মারতে গেলে কোনও টিকার প্রয়োজন নেই বাংলার সংযুক্ত মোর্চাই যথেষ্ট বলে তিনি জানিয়েছেন। তৃণমূলকে তিনি ইঁদুরের সঙ্গে তুলনা করেন। তিনি বলেন কাটমানির সরকরাকে আর ভোটে জিততে দেওয়া যাবে না।