ব্রিগেডে সভা নরেন্দ্র মোদীর।
তৃণমূল উন্নয়ন না করে ধর্মীয় বিভাজনে মেতেছে।
সেইজন্যই পদ্মফুল ফুটেছে বাংলায়।
সোনার বাংলা স্বপ্নপূরণের আশ্বাস মোদীর।
সম্পিকা পাল - ২০২১ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছে বিজেপি। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ব্রিগেডে এসে ঝাঁঝালো বক্তৃতা করে গেলেন। ধর্মীয় বিভাজনের প্রসঙ্গে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করার পাশাপাশি উন্নয়নের কাজ নিয়ে তুলোধনা করেন তিনি। মোদীর পুরো বক্তৃতা বাঁধা ছিল দু’টি শব্দবন্ধে- ‘আসল পরিবর্তন’। ঠিক কী বলেছেন নরেন্দ্র
মোদী, কীভাবে বিজেপপি গড়বে সোনার বাংলা -
১. তৃণমূল পশ্চিমবঙ্গে উন্নয়ন না করে বিভাজনের রাজনীতি করেছে। তাই আজ বাংলায় পদ্মফুল ফুটেছে। ধর্মীয় ভাবাবেগে তোমরা বাংলার জনতাকে ভাগ করেছো, তাই বাংলায় পদ্মফুল ফুটেছে।
২. সোনার বাংলার স্বপ্নপূরণ হবে। আজ আমি এখানে এসেছি বাংলার উন্নয়ন নিয়ে তোমাদের আশ্বস্ত করতে, শিল্পে বিনিয়োগ বাড়াতে, বাংলার সংস্কৃতি রক্ষার জন্য এবং অবশ্যই পরিবর্তনের জন্য।
৩. আগামী ২৫ বছর খুবই গুরুত্বপূর্ণ বাংলার বিকাশের জন্য। আগামী ৫ বছর ধরে যে উন্নয়ন-যজ্ঞ চলবে, তাতে সামনের ২৫ বছরের উন্নয়নের ভিত তৈরি হবে।
৪. আপনারা খুব ভাল করেই জানেন, গণতান্ত্রিক কাঠামো কী ভাবে ধ্বংস্ব করে ফেলা হয়েছে এখানে। বিজেপি গণতন্ত্রের শক্ত ভিত গড়ে দেবে। সরকার, পুলিশ, প্রশাসনের উপরে মানুষের আস্থা ফিরে আসবে।
৫. তৃণমূল ‘মা-মাটি-মানুষে’র জন্য কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু আপনারাই বলুন, তৃণমূল কি গত দশ বছরে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় কোনও পরিবর্তন আনতে পেরেছে?
৬. আমার বিরোধীরা বলে, আমি নাকি শুধু আমার মিত্রদের জন্য কাজ করি। আমরা যাদের সঙ্গে বড় হই, তারাই আমাদের বন্ধু হয়। আমি দারিদ্রের মধ্যে বড় হয়েছি। দরিদ্র ভারতবাসীর লড়াইয়ের কষ্ট আমি জানি। আমি তাদের হয়ে কাজ করি এবং করে যাব।
আরও পড়ুন - নকশাল দূর্গ ঝাড়গ্রাম এখন বিজেপির ঘাঁটি, কীভাবে জমি তৈরি করে দিয়েছে আরএসএস, দেখুন
আরও পড়ুন - 'ধর্ম'-যুদ্ধ, বিজেপির চক্রবূহে ফেঁসে গিয়েছেন মমতা - এবার দুই কূলই না হারাতে হয়
আরও পড়ুন - নামকরণ, অনুকরণ এবং নাকচ - কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলি নিয়ে কোন খেলায় মেতেছেন মমতা, দেখুন
৭. তোলাবাজি, সিন্ডিকেট, কমিশন কাটমানি- তৃণমূল এত অনিয়ম করেছে যে ‘দুর্নীতির অলিম্পিক’ খেলার আয়োজন করে ফেলা যাবে। মানুষের কষ্টার্জিত টাকা আর তাদের জীবন নিয়ে খেলা করেছে তৃণমূল।
৮. তোমার (মমতা ব্যানার্জ্জী) স্কুটি ভবানীপুরে না গিয়ে নন্দীগ্রামের দিকে বেঁকে গিয়েছে। দিদি, আমি চাই সবাই সুস্থ থাকুক এবং কেউ কোনও আঘাত না পাক। কিন্তু তোমার স্কুটি যদি নন্দীগ্রামে পড়ে যাওয়ারই হয়, তাহলে আমি কী করতে পারি?
৯. ‘মা-মাটি-মানুষে’র কী দশা হয়েছে, তা আপনারা ভাল করেই জানেন। মায়েরা রাস্তায়, তাদের নিজেদের ঘরে আক্রান্ত হচ্ছেন। সম্প্রতি আশি বছরের এক বৃদ্ধাকে যে ভাবে নির্যাতন করা হয়েছে, তাতে এই নিষ্ঠুর মুখটা পুরো দেশ দেখতে পেয়েছে।
১০. আমি এখানে এসেছি আপনাদের ‘আসল পরিবর্তন’ বোঝাতে, বাংলার উন্নয়নে বিশ্বাস করাতে, বাংলার হাল ফেরাতে, শিল্প ও বিনিয়োগ বাড়াতে, নতুন বাংলা গড়তে।