ভোট পরবর্তী বাংলাতে হিংসা, রক্তপাত যেন থামার নাম নিচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া বার্তাকে থোরাই কেয়ার করে জেলায় জেলায় অব্যাহত রয়েছে অরাজক পরিস্থিতি। এবার সাত সকালে ভরা বাজারে তৃণমূল নেতাকে গুলি করার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়া হুগলির বাঁশবেড়িয়ায়। গুলিবিদ্ধ তৃণূল নেতার নাম আদিত্য নিয়োগী। বাঁশবেড়িয়া পুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন আদিত্য নিয়োগী। ঘটনায় অভিোগের তির পুর প্রশাসক অরিজিতা শীলের স্বামী সত্যরঞ্জন শীল ও তার আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,মঙ্গলবার সকালে বাঁশবেড়িয়ার বেলতলায় বাজারে গিয়েছিলেন আদিত্য নিয়োগী। পেছন থেকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় বাজারে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ায় দুষ্কৃতীরা সহজেই পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন আহত তৃণমূল নেতা মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর অবস্থার অবনতি হওয়ায় কলকাতায় স্থানান্তরীত করা হয়েছে। যন্ত্রণাকাতর অবস্থাতেই আদিত্য নিয়োগী অভিযোগ করেন,'গত ছ’বছর ধরে আমাকে নানা ভাবে কষ্ট দিচ্ছে সত্যরঞ্জন শীল। আমাকে মিথ্যা মামলায় একাধিকবার ফাঁসিয়েছে। তাতেও শান্তি হয়নি। এবার মেরে ফেলার চেষ্টা করছে।' এরপরই উত্তেজিত এলাকাবাসী তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী সোনা শীলের ঘনিষ্ঠের বাড়িতে ব্যাপত ভাঙচুর চালায়। তবে অভিযুক্তদের কাওকেই এলাকায় পাওয়া যায়নি।
এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই আরও একবার সামনে এসছে শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্ব। সত্যরঞ্জন শীলের বিরুদ্ধে এলাকায় তোলাবাজির অভিযোগ রয়েছে। আদিত্য নিয়োগী তাঁর প্রতিবাদ করতেন। সেই কারণেই এই হামলা বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এই বিষয়ে সপ্তগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক তপন দাসগুপ্ত বলেন,'পরিকল্পনা করেই খুনের ছক কষা হয়েছিল। অভিযুক্তরা দলে থাকলেও, ভোটের আগে থেকেই তলে তলে বিজেপির হয়ে কাজ করছে। সেই কারমেই হামলা'। চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের বক্তব্য, 'এই ধরনের কিছু মমানুষের জন্য দল ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদনাম হচ্ছে। এটা কিছুতেই বরদাস্ত করা হবে না। এই বিষয়ে দলের উচ্চ নেতত্বকে জানাবো।' ইতিমদধ্যেই ঘটনার তদন্তও শুরু করেছে পুলিস। তবে তৃণমূল নেতাকে গুলি করার ঘটনায় উত্তপ্ত হুগলির বাঁশবেড়িয়া।