ভোটের আগে নন্দীগ্রামে তৃণমূল-বিজেপি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, আহত ৬

  • বিধানসভা নির্বাচনের আগে উত্তপ্ত নন্দীগ্রাম
  • তৃণমূল-বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ব্যাপক সংঘর্ষ
  • রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আহত দুই পক্ষের মোট ৬ জন
  • ঘটনা ঘিরে গ্রাম জুড়ে এখনও আতঙ্কে স্থানীয়রা
     

Asianet News Bangla | Published : Mar 18, 2021 11:43 AM IST / Updated: Mar 18 2021, 05:14 PM IST

সঞ্জীব দুবেঃ ভোট পূর্ববর্তী হিংসা উত্তেজনা ছড়াল নন্দীগ্রামে। এদিন সোনাচূড়া এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির সংঘর্ষে মোট ছজন আহত হয়েছেন। আহতদের দুটি পৃথক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে ভূমিপুত্র শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করার পর পারদ চড়ছিল। এর পর সেখানে প্রচারে গিয়ে মমতার আহত হওয়া, চোটের কারণ নিয়ে চাপানউতোর, এসব সে পারদকে আরও ঊর্ধ্বমুখী করে তুলেছিল। 

বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রাম ১ নং-এ বুথভিত্তিক প্রচার কর্মসূচি ছিল শুভেন্দু অধিকারীর। সোনাচূ়ড়া থেকে গ্যাংড়া যাবার পথে, সোনাচূড়ার কাছে তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখায়। এই বিক্ষোভের সময়ে বিজেপি সমর্থকদের সঙ্গে তাঁদের সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে তৃণমূল কংগ্রেসের দুজন ও বিজেপির চারজন সমর্থক আহত হন। আহত তৃণমূল সমর্থকদের নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।বিজেপি সমর্থকদের ভর্তি করা হয়েছে অন্য একটি হাসপাতালে। বিক্ষোভ-হাঙ্গামা সত্ত্বেও অবশ্য কর্মসূচি বাতিল করেননি শুভেন্দু। তিনি বুথভিত্তিক প্রচার কর্মসূচি চালিয়েছেন। তবে এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ প্রমাণ করছে যে নন্দীগ্রাম তথা বঙ্গভোট হিংসাশ্রয়ী হতে চলেছে। 

নন্দীগ্রাম থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে প্রার্থী করার মাধ্যমে বিজেপি যে রাজনৈতিক চাল দিতে চেয়েছিল, তাকে নস্যাৎ করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রাম থেকে ভোটে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেছিলেনন। নিজের কেন্দ্র ভবানীপুর তিনি ছেড়ে দিয়েছেন দলের প্রবীণ নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে। বাংলার প্রেস্টিজ ফাইটের মঞ্চ এখন নন্দীগ্রাম। ফলে সেখানে হাই ভোল্টেজ পরিস্থিতি। এদিকে তৃণমূলের সাংসদ তথা শুভেন্দুপিতা শিশির এখনও দল ছাড়েননি। এদিকে মোদীর সভায় তাঁর যোগ দিতে যাওয়া নিশ্চিত। একই হাল দিব্যেন্দু অধিকারী, শুভেন্দুর ভাইয়েরও। 

শিশিরের অভিযোগ, তাঁদের মীরজাফর ও বেইমান বলে চিহ্নিত করা হচ্ছে। অন্যদিকে মমতার অভিযোগ, বাংলার মাটি নন্দীগ্রামে তাঁকে চিহ্নিত করা হচ্ছে বহিরাগত হিসেবে। সব মিলিয়ে নন্দীগ্রাম এখন যুযুধান দু পক্ষের সেন্টারস্টেজ। ভূমিপুত্র হিসেবে শুভেন্দুর এখানে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকার কথা থাকলেও, মুখ্যমন্ত্রীর নিজের এই কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত সেই পূর্বধারণাকে কিছুটা হলেও নড়িয়ে দিয়েছে। এরই মধ্যে গতকাল শিশির অধিকারী সমু্দ্রবন্দর প্রসঙ্গে তাঁর সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ তোলায় জল আরও যে একটু ঘোলাটে হয়েছে, তাতে সন্দেহ  নেই। সন্দেহ নেই যে শুভেন্দুর মত সংগঠকের বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে নন্দীগ্রামে বেগ পেতে হবে তৃণমূলকে। এই উঁচু তারে বাঁধা লড়াই আরও কত রক্তক্ষয় ঘটাবে সে নিয়েই চিন্তায় নন্দীগ্রামের মানুষ। 

Share this article
click me!