চেনা মাঠ, চেনা ভোট, জোডা়ফুলের বাগানে পদ্ম ফোটানোর ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী রাজীব

  • ডোমজুড়ে বিজেপি প্রার্থী রাজবী বন্দ্যোপাধ্যায়
  • নিজের পুরোনো কেন্দ্র থেকেই প্রতিদ্বন্দীতা করছেন তিনি
  • প্রচারে বেরিয়ে কেন্দ্রের সর্বত্র চষে ফেলছেন রাজীব
  • নিজের জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী বিজেপি প্রার্থী
     

Asianet News Bangla | Published : Mar 26, 2021 10:43 AM IST / Updated: Mar 29 2021, 07:42 AM IST

তাপস দাসঃ তৃণমূলের যেসব মন্ত্রী দল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছেন তাঁদের মধ্যে শুভেন্দু যদি ধারে ভারে পয়লা নম্বর হন, তাহলে কার্যকারিতার দিক থেকে তাঁর খুব কাছেই যিনি থাকবেন, তিনি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। সেচমন্ত্রী থাকাকালীন রাজীবের পারফরম্যান্স ছিল, এক কথায় দারুন। দ্বিতীয় মমতা মন্ত্রিসভায় শুরুতে তাঁকে দেওয়া হয় জনজাতি উন্নয়ন দফতর। পরে অবশ্য ফের তাঁর দফতর বদল হয়, পুনর্বণ্টনের অজুহাতে। নম্রভাষী হিসেবেই জনসমক্ষে পরিচিত ৪৭ বছর বয়সী এই এমবিএ ডিগ্রিধারী। 

২০১১ সালে তৃণমূলের হয়ে তিনি ডোমজুড় বিধানসভা থেকে জিতেছিলেন। ২০১৬ সালেও তিনি একই কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেন। এ বছরের জানুয়ারি মাসের ২৯ তারিখ তিনি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন। পর দিনই তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে যুক্ত হন। সেন্ট জেভিয়ার্সের এই প্রাক্তনীর উপর অনেকাংশে নির্ভর করত তৃণমূল, অন্তত হাওড়ার ক্ষেত্রে তো বটেই। হাওড়া জেলার বিধানসভা এবং লোকসভা আসনে দলের জয়ের কারিগর হিসেবে তাঁর নাম উঠে এসেছে বারবার। রাজীবের পক্ষে যা সব সময়ে থেকেছে, তা হল তাঁর স্বচ্ছ ভাবমূর্তি। চক্রান্ত হোক বা না হোক, শুভেন্দুকে যেভাবে টেলিভিশনের পর্দায় নগদ গ্রহণ করতে দেখা গিয়েছে, তেমন কিছু কোনও দিন তাড়া করে ফেরেনি রাজীবের পিছনে, এখনও। এই ভাবমূর্তি এবং রাজীবের দুই দফার মন্ত্রিত্ব পরিচালনার দক্ষতা তাঁর নতুন দল কীভাবে কাজে লাগাতে পারবে, তা সময়ই বলবে।   

২০১৬ সালের নির্বাচনে তিনি লক্ষাধিক ভোটে জিতেছিলেন। ২০২১ সালে তাঁর দল নতুন হতে পারে, কিন্তু মাঠ তাঁর চেনা। সেই ডোমজুড়। ডোমজুড়কে বরাবর নিজের পরিবার বলে এসেছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রচারে কেন্দ্রের প্রতিটি এলাকা চষে ফেলছেন তিনি। নতুন দলে লড়াই কঠিন হলেও, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কণ্ঠে সবসময় আত্মবিশ্বাসের সুর।  বলছেন, আমিই জিতব। তাঁর এ আত্মবিশ্বাস সত্যি হবে কিনা,ডোনমজুড়ে পদ্ম ফুটবে কিনা তা জানা যাবে ২ মে। 

Share this article
click me!